মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

এনিমেশন কার্টুন তৈরি করা ছবি অংকনের কাতারে পরবে কি । উল্লেখ্য কার্টুনে একেকটি চরিত্রে নিজের মনমতো বিভিন্ন আকৃতি দেয়া যায় । স্পষ্ট করে জানালে উপকৃত হবো?

সাইয়েদ আনিস
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৭:২৯ পিএম

উত্তর : আসলে ছবি বা চিত্রঅংকন গুনাহ এই জন্য যে, সৃষ্টিটা শুধু আল্লাহ তায়ালার অধিকার। তার সৃষ্টির মধ্যে বিশেষ করে মানুষ ও প্রাণীর চিত্র অংকন করা হাদীস শরীফে নিষিদ্ধ, এটা কেউ করবে না। এটা একধরণের খোদার ওপর খোদগীরি করা। নকল তৈরি করা। এর শাস্তিটাও হাদীসে বলা আছে যে, হাশরের দিন বলা হবে, তুমি মানুষ বা অন্য প্রাণী এঁকেছ তাদের প্রাণ দাও। তখন প্রাণ দিতে পারবে না এবং শাস্তি পাবে। গাছপালা প্রকৃতি, যাদের মানুষের মতো প্রাণ নেই সেসব ছবি আঁকা যায়। অনেক আলেমের মতে এইগুলো আঁকাও হারাম। তবে উলামায়ে কেরাম গাছপালা, প্রকৃতি আঁকা জায়েজ বলেছেন। এখানে কার্টুনের মধ্যে যদি কেউ করে, এটা না করা ভালো। করা গুনাহ। আর কার্টুনে তো মানুষের চেহারা বিকৃতি করা হয়। মানুষ যেমন, তেমন থাকে না। অন্যরকম করা হয়। মানুষের চেহারা তুলিতে বিকৃতি, পেন্সিলে বিকৃতি বা ডিজাটালাইজেশনের মাধ্যমে বিকৃতি, কম্পিউটারে এডিট করে বিকৃতি এবং মানুষের সরাসরি ফিজিক্যাল বিকৃতি করা সবগুলো ইসলামে নিষেধ। আল্লাহর রাসূল বলেছেন, চেহারা বিকৃতির দ্বারা মানুষের যে মর্যদা, তা হানী হয়। অমুসলিম বা শত্রুর চেহারাও বিকৃতি করা, কার্টুন করা উচিত না। কাজেই এনিমেশন কার্টুনের কাজ কেউ পেশা হিসাবে না নেন। আমরা যদি আল্লাহর চাহিদাটা বুঝতে পারি যে, কেন ছবি হারাম, তাহলে একদম অপারগ অবস্থা ছাড়া ছবি, কার্টুন আমরা এড়িয়ে চলবো। এটাই হলো ইসলামের দাবী।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Ishika ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:০০ পিএম says : 0
অ্যনিমেশন দ্বারা যদি ভালো কোন কিছু শিখানো যায় বা 2D অ্যনিমেশন করা কি যাবে?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন