ইনকিলাব ডেস্ক : লিবিয়ার উপকূল থেকে দু’দিনে প্রায় দশ হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ইতালীয় কোস্ট গার্ড। প্রথম দিন উদ্ধার করা হয় সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসীকে। মঙ্গলবার আরো সাড়ে তিন হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতালীয় কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, অনকূল আবহাওয়ার কারণে অভিবাসী আগমন অনেক বেড়ে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আরো বেশি ১০০,০০০ অভিবাসী ২০১৬ সালে ভূমধ্যসাগর দিয়ে বিপজ্জনক যাত্রা করেছেন কমপক্ষে এক লাখ অভিবাসী। তাদের মধ্যে অনেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও চরম দারিদ্র্য থেকে জীবন বাঁচাতে এ পথে যাত্রা করেন। তাদের মধ্যে চলতি বছর ৩,০০০ অভিবাসী মারা গেছে বলে অনুমান করা হয়। তবে ইইউ আসার অভিবাসীদের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে। গত সোমবার লিবিয়ার সাবরাথা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ৪০টির মতো উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অভিবাসীরা চিৎকার করছেন, কেউ আবার সাঁতরে উদ্ধারকারী জাহাজে উঠছেন। ধারণা করা হচ্ছে এসব অভিবাসী ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিক। এর আগে এক খবরে বলা হয়, সোমবারের অভিযানে ইতালির উদ্ধারকারী জাহাজের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তবিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্স এবং কয়েকটি এনজিও’র জাহাজও অংশ নেয়। এর আগে একই এলাকা থেকে ১১০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। খবরে বলা হয়, লিবিয়ার রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগে দেশটিকে মানব-পাচারের জন্য অনেকটাই নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষ উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী চলতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছে। আর চলতি বছর ইউরোপে প্রবেশ করেছে ২ লাখ ৮৪ হাজার অভিবাসী। আফ্রিকা, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে তারা ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। বিপদসংকুল যাত্রা করে এই পর্যন্ত বহু মানুষ যাত্রাপথেই প্রাণ হারিয়েছেন। অতিরিক্ত লোকজনে পূর্ণ ও সাগর পাড়ি দেয়ার অনুপযুক্ত নৌকায় চড়ে অভিবাসন প্রত্যাশীরা রওয়ানা হয়েছিল, তবে ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় সাগরে অপেক্ষমাণ উদ্ধারকারী জাহাজ পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো যথেষ্ট জ্বালানি ছিল বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন