ভারতের মহারাষ্ট্রের নালাসোপারার নায়েক পরিবারে বিদ্যুতের বিল হয়েছে ৮০ কোটি টাকা! বিলে টাকার অংকটা দেখে ৮০ বছরের বৃদ্ধ গণপত নায়েকের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘নিউজ ১৮’ এর খবরে বলা হয়েছে, অবশেষে বিদ্যুৎ বিভাগের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান হয়। -নিউজ ১৮
মহারাষ্ট্রের নালা সোপারার বাসিন্দা এই বৃদ্ধ রীতিমতো ধনী। চালকলের মালিক তিনি কিন্তু বিশাল অংকের বিদ্যুৎ বিল দেখে তার চোখ কপালে উঠে যায়। এ ধাক্কা সামলানো তার পক্ষেও সম্ভব হয়নি। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি গণপত। ক্রমে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তাঁর। তার উচ্চ রক্ত চাপ বাড়তেই থাকে। তার উপর তিনি আবার হৃদরোগী। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ইতোমধ্যেই মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড (MSEDCL)-এর কাছে যায় খবরটি। বৃদ্ধের পরিবারের তরফেও স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে বিষয়টি জানানো হয়। অবশেষে ভুল ধরা পড়ে। MSEDCL -এর তরফে পুনরায় মিটার রিডিং চেক করা হয়। তার পর একটি নতুন সংশোধিত বিলও পাঠানো হয়।
জানায়, যে সংস্থাটির উপরে মিটার রিডিং ও বিল তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারাই এই মারাত্মক ভুলটি করেছে। ৬ ডিজিটের জায়গায় ৯ ডিজিটের বিল তৈরি করেছিল তারা। আর এর জেরেই যাবতীয় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের আধিকারিক সুরেন্দ্র মোনেরে জানান, অতন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আপাতত সুস্থ রয়েছেন নায়েক। নায়েকের পরিবারের জন্য নতুন বিলও ইস্যু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে জানায় MSEDCL।
বিল পাওয়ার পর নায়েকের পরিবারের সদস্যরাও কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। গণপত নায়েকের নাতি নীরজ জানান, বিলটি দেখার পর রীতিমতো চমকে গিয়েছিলাম। প্রথমে মনে হয়েছিল, হয় তো পুরো জেলার বিল একসঙ্গে এসেছে। তাই বিলটি ভালো করে দেখা হয় কিন্তু না, বিল শুধু আমাদের বাড়ির নামেই ছিল। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। লকডাউনের জেরে ইতোমধ্যেই যাবতীয় ডিউ ও অ্যারিয়ার নেওয়া শুরু করেছে স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড। ভেবেছিলাম, সেই জন্য বোধ হয় বিল বেড়েছে। তবে এই বিশাল অংকের বিল দেখার পর কী করব বুঝতে পারছিলাম না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন