নাজিম হিমায়াতুল্লাহ জেলার মারদান শহরের আদালতে বড় হামলাটি চালানো হয়েছে
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানে পৃথক আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪১ জন। গতকাল শুক্রবার দেশটির নাজিম হিমায়াতুল্লাহ জেলার মারদান শহরের জেলা আদালতে বড় হামলাটি চালানো হয়। এতে ১২ জন নিহত হন। এ ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে পেশওয়ারে খ্রিস্টান কলোনিতে হামলা চেষ্টাকালে চার আত্মঘাতী হামলাকারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। মারদানের পুলিশ জানিয়েছে, আত্মঘাতী বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে হামলাকারী একটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ কর্মকর্তা ফয়সাল শেহজাদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সকালে বেশ ভিড় থাকা আদালত প্রাঙ্গণে এ হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। সূত্র জানায়, দুই হামলাকারী সুইসাইড জ্যাকেট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে। আর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় আরো দুই হামলাকারী। পেশোয়ারে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়। শহরটিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক হামলা হয়। সর্বশেষ শুক্রবারের হামলার নেপথ্যে কারা, তা এখনো জানা যায়নি। অপরদিকে একই দিন দক্ষিণ পেশওয়ারের ওয়ারসাক দাম এলাকার কাছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি কলোনিতে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার হামলাকারী এবং এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গতকাল ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যার পর চার আত্মঘাতী হামলাকারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে ওয়ারসকতে খ্রিস্টান কলোনিতে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা বাহিনী খবর পেয়ে দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় হলে তাদের চারজনই নিহত হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর কোনো সন্ত্রাসী ভেতরে রয়ে গেছে কি-না তা দেখতে ওই এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দেশটির সুন্নী ইসলামী গোষ্ঠী জামাতুল আহরার এ হামলার দায়স্বীকার করেছে। এএফপি ও ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন