ইনকিলাব ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধির দেশ চীন তার সামরিক আধুনিকায়নের উচ্চাভিলাষে যোগ করতে যাচ্ছে আরো একটি অত্যাধুনিক উদ্ভাবন। চীনা বিমান বাহিনীর প্রধান মা শিয়াওতিয়ান এমন তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে তার দেশ নিজস্ব প্রযুক্তিতে দূরপাল্লার বোমারু বিমান নির্মাণ করছে। এই বিমান বহু দূরবর্তী টার্গেটে সফলভাবে হামলা চালাতে পারবে।
শিয়াওতিয়ান জানান, চীনে এর আগেই দূরবর্তী লক্ষ্যস্থলে হামলা চালানোর উপযোগী বোমারু বিমান নির্মাণ করেছে। কিন্তু যে বিমান বানানো হলো তার সক্ষমতা আরো বিস্তৃত এবং আরো দূরের লক্ষ্যে হামলা চালানোর উপযোগী। মা শিয়াওতিয়ান ঘোষণা করেন, চীন এখন তার সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের ক্ষেত্রে সংখ্যাধিক্যের চেয়ে জোর দিচ্ছে গুণগত মানের দিকে। তিনি বলেন, চীনা বিমান বাহিনী এখন নতুন অগ্রগতির সোপানে উপনীত হয়েছে। গত শুক্রবার মা শিয়াওতিয়ানকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার খবরে বলা হয়, তিনি বিমান বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, আমরা বর্তমানে বহু দূরের লক্ষ্যে হামলা চালানোর উপযোগী নতুন ধরনের বোমারু বিমান নির্মাণ করতে যাচ্ছি এবং এই বিমান আপনারা অদূর ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেননি।
সূত্র জানায়, চীন তার সামরিক উচ্চাভিলাষ পূরণে সামরিক খাতে নানা ধরনের অত্যাধুনিক সমর সরঞ্জাম নির্মাণ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব সামরিক উপকরণের মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী এবং উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। চীনের এই উচ্চাভিলাষী সামরিক অগ্রগতি আঞ্চলিক পর্যায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের জন্যেও যথেষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ সৃষ্টি করে চলেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকা এবং অন্যান্য ভূখ-গত অধিকার নিয়ে চীন যেভাবে বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় দিয়ে তার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সাধনে দর্পে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আঞ্চলিক উদ্বেগের সাথেসাথে যুক্তরাষ্ট্রেরও উদ্বেগ আরো বাড়েছে। চীনা বিমান বাহিনী এর আগে তাদের জঙ্গি কিংবা বোমারু বিমান বহরের উন্নয়নে রাশিয়ার বিমান প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল। কার্যত তারা রুশ বিমানের অনুকরণে নিজেদের জঙ্গি বিমান তৈরি করেছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন