গত শুক্রবার সউদী সাংবাদিক জামার খাসোগি হত্যার ঘটনায় গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম থাকরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এই তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাকি বলেন, ‘আমরা মনে করি, খাশোগি হত্যার মতো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর পথ রয়েছে। আর সউদী আরবের সঙ্গে যেহেতু আমাদের চুক্তি রয়েছে, সে কারণে আমাদের জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারও রয়েছে। আসলে কূটনীতি ব্যাপারটা এমনই হয়।’ যুবরাজকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কারণ কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে, এমন দেশের সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই তথ্য জানিয়ে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান এবং রিয়াদের ওপর আসা হুমকি ও রকেট হামলা থেকে সুরক্ষা দেয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। যখন প্রয়োজন, তখন দেশগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে বৈশ্বিক কূটনীতি দরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থও কাজ করছে।’
এদিকে অভিযোগ থাকার পরও যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সময় সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরবের সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি আমরা।’ তিনি বলেন, সউদী-মার্কিন সম্পর্কে বিচ্ছেদ নয়, পুনরুদ্ধারের কাজ করছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই ৭৬ সউদী নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সউদীর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায়নি তারা।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্তার প্রমাণ পাওয়ার পরও সউদী যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে তা চরম উদ্বেগ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। তারা বলছে, ‘সউদী আরবের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। শুধু কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে হবে না। যারা এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ নতুন যুগের সূচনা করতে চেয়েছিলেন। এখন এসব বিষয়ে তিনি নীরব থাকলে সেটি দুঃখজনক।’ সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন