এই বয়সেই বাচ্চারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। কিন্তু ২ বছর ৮ মাসের আয়াংশ সেসব হেসে-খেলে বেড়ানোর দুনিয়া থেকে অনেক দূরে। দিনভর শুয়ে-বসে থাকা, দিনের অর্ধেকটা সময়ে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে কাটানো, অন্তত বার পাঁচেক বমি আর দিনে ৪-৫ ঘণ্টার ফিজিয়োথেরাপিই তার রোজনামচা। বিরল জিনগত অসুখ স্পাইনাল মাসক্যুলার অ্যাট্রফি থাবা বসিয়েছে তার ছোট্ট জীবনে। দুরারোগ্য যে রোগের কোনও চিকিৎসা এ যাবৎ অমিল এ দেশে। ফলে আয়ুও অতি অল্প। তবে একেবারে চিকিৎসা নেই বলা ভুল। মার্কিন মুলুকে একটি ওষুধ আছে বটে। আদতে সেটি জিন-থেরাপির একটি ইঞ্জেকশন। আপাতত সেই থেরাপির আশাকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে মরিয়া একরত্তির মা-বাবা রূপল ও যোগেশ গুপ্তা। কিন্তু বাধ সাধছে খরচ। কেননা ওই একটিমাত্র ইঞ্জেকশনের দামই ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা। দুনিয়ার সবচেয়ে মহার্ঘ সেই ওষুধ জোটাতে আত্মীয়-বন্ধুদের পরামর্শে তাই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছেন হায়দরাবাদের দম্পতি।
রূপলের কথায়, চিকিৎসক যখন প্রথমে জানান যে, আমার আয়াংশ চার-পাঁচ বছরের বেশি বাঁচবে না এবং মার্কিন ওই ওষুধটাই একমাত্র আশা, তখন লোকের কাছে হাত পাততে এতটুকু সংশয় হয়নি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন