আগামী এপ্রিল পর্যন্ত উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস (ওপেক) এবং এর সহযোগী দেশগুলো। এর ফলে, গেল শুক্রবারে অপরিশোধিত তেলের দাম বিশ্বব্যাপী ২ শতাংশেরও বেশি, যা বিগত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে প্রতি বা ১ ডলারেরও বেশি বেড়ে ৬৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওপেক প্লাস রাশিয়ার এবং কাজাখস্তানের জন্য সামান্য ছাড় রেখে বাকিদের জন্য এপ্রিল পর্যন্ত তেলের সরবরাহ কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলে আমেরিকার ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের তেলের দর ব্যারেল প্রতি ১ ডলার ৫২ সেন্ট বা দুই দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে ৬৮ ডলার ২৬ সেন্টে পৌঁছে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট (ডবিøউটিআই)-এর তেলের দর ব্যারেল প্রতি ১ ডলার ৩০ সেন্ট বা ২ শতাংশ বেড়ে ৬৫ ডলার ১৩ সেন্টে পৌঁছে। ইউবিএস তেলের গবেষক জোভান্নি স্তাওনোভো বলেছেন, ‘ওপেক প্লাস এপ্রিল মাসে প্রতিদিন (বিপিডি) মাত্র দেড় লাখ ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি সতর্ক অবস্থান নিয়েছে যখন বাজারে অংশগ্রহণকারীরা দিন প্রতি দেড় মিলিয়ন ব্যারেল বাড়ার অপেক্ষায় ছিল।’ বিনিয়োগকারীরা অবাক হয়েছিলেন যে, বিশ্বজুড়ে করোনা টিকাদান কার্যক্রমের মধ্যে গত ২ মাস ধরে তেলের মূল্য বেড়ে পাওয়ার পরেও সউদী আরব স্বপ্রণোদিত হয়ে এপ্রিলের পর্যন্ত প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেল হারে উৎপাদন কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিটি গ্রুপের পণ্য পর্যালোচনাকারী একটি নোটে বলা হয়েছে, ‘দলগুলোকে একত্রিত করার লক্ষ্যে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছে, তবে ফলস্বরূপ মূল্যবৃদ্ধি ২০২১ সালের ১ এপ্রিলে দলগুলোতে আবার এক হওয়ার পর তাদের মনোভাব পরিবর্তন করতে চাপ দেবে।’ তবে, বিশ্লেষকদের ধারণা, ওপেক প্লাস এবং মার্কিন শেল তেলের বিনিয়োগকারীরা লাভ বাড়ানোর জন্য সরবরাহ কমিয়ে রেখেছেন। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন