বৃটেনে সারা ইভেরার্ড নামে এক যুবতীকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে মেট্রোপলিটল পুলিশের অফিসার ওয়েনি কোজেন্সের (৪৮) বিরুদ্ধে। গত ৩রা মার্চ সর্বশেষ সারা’কে দেখা গেছে। এরপর কেন্ট-এর একটি জঙ্গল থেকে ৩৩ বছর বয়সী সারা’র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বুধবার। এতে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েনি কোজেন্সেকে। এ ঘটনায় বৃটেনজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সারার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ডারহাম ইউনিভার্সিটি। এ সময় তাকে সবার ভালবাসার একজন গ্রাজুয়েট বলে বর্ণনা করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, মিস ইভেরার্ডকে সর্বশেষ ক্লাম্পহ্যামের মূল সড়কে একা হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। তবে তিনি পরে তার ব্রিক্সটনের বাড়িতে পৌঁছতে পেরেছেন কিনা তা স্পষ্ট করে তখন বলতে পারেনি পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চালাতে চালাতে বুধবার কেন্ট-এর অ্যাশফোর্ডের কাছে একটি বন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার নিক এফগ্রাভ বলেছেন, বিষয়টি জানানো হয়েছে মিস ইভেরার্ডের পরিবারকে। তাদেরকে বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তারা অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমি এই পর্যায়ে সারার পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ এবং সহনশীলতার জন্য শ্রদ্ধা জানাই। তাদের সবার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এতে সহযোগিতা করছেন পুরো মেট্রোপলিটন পুলিশের শত শত কর্মকর্তা এবং কেন্ট পুলিশের সহকর্মীরা। ওদিকে আজ আদালতে তুলে ওয়েনে কোজেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিশ্চিত করার আগে গত দু’দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। কারণ, তাকে জেলখানার সেলে রাখার পর তার মাথায় ক্ষত দেখা দিয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন