হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, সম্পূর্ণ সুন্নত তরিকায় পাক-পবিত্র ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত আগস্ট মাস থেকে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা গুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। করোনা মহামারি থেকে পানাহ চাইতে কওমি মাদরাসাগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে কওমি মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করছি কওমি মাদরাসা গুলো বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি অতি দ্রুত এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সামনে রমজান মাস আগত। কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে সাধারণত মাদরাসাগুলোর কিতাব বিভাগ বন্ধ থাকে এবং স্বল্প পরিসরে শুধু মাত্র সারাদেশের মক্তব এবং হেফজখানা গুলো চালু থাকে। সেখানে শুধু মাত্র কোরআন শিক্ষা ও কোরআন তেলাওয়াতেই জারি থাকে। কোরআন নাজিলের মাসকে সামনে রেখে মাদরাসা গুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়ে কোরআন শিক্ষা ও কোরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দেয়ার গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কয়েক মাস পর কওমি মাদরাসা গুলো খুলে দেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো মাদরাসায় কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কারণ কওমি মাদরাসা গুলোতে কোরআন হাদীসের পাঠ দানের মাধ্যমে সমাজের মধ্যে আল্লাহর রহমত বয়ে আনে। আর রহমত যেখানে থাকবে সেখানে গজব আসতে পারে না। সুতরাং রহমতের এই মাসে আল্লাহর রহমত কামনার দরজা গুলো খুলে দিন তাহলেই করোনা ভাইরাসের মতো গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান এই সময়ে সর্বস্তরের জনগণ লকডাউন প্রত্যাখ্যান করেছে। কৃষক শ্রমিক দোকানদার ও ব্যবসায়ীসহ জনগণ লকডাউনের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছে। যার ফলশ্রæতিতে আজ সকাল থেকে রাজধানীর সকল পরিবহন চলাচলের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, মাদরাসা বন্ধের ঘোষণা মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন