কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশের জ্ঞানবাপী মসজিদ মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল বারাণসীর একটি আদালত। প্রায় তিন দশকের পুরনো একটি পিটিশনের ভিত্তিতে একটি মামলার শুনানিতে এদিন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে ওই আদালত।
বছর তিরিশেক আগে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করে বলা হয়েছিল, ১৬৬৪ সালে ভগবান বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষ দিয়েই ওই মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। এদিনের রায়ে এএসআই–এর ডিরেক্টর জেনারেলকে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই কমিটি গঠিত হবে মূলত প্রত্নতাত্ত্বিকদের নিয়েই এবং তাঁদের মধ্যে দু’জন সদস্যকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হতে হবে, জানায় আদালত। কমিটি কী কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য পর্যবেক্ষক পদে একজন শিক্ষাবিদকে নিয়োগ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
কী কী বিষয় নিয়ে কাজ করবে ওই কমিটি, তাও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ রয়েছে, সেখানে আগে কোনও মন্দির ছিল কিনা এবং থাকলে তা আসলে হিন্দুদেরই উপাসনাস্থল ছিল, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পিটিশনের যে দাবি করা হয়েছে, সেই মতো কোনও মন্দির ভেঙে এই মসজিদ তৈরি হয়েছে নাকি মন্দিরের অংশ বাড়িয়ে তৈরি হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ, তা নিয়েও পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য আর সামসদ বলেন, ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল সংক্রান্ত যে আইন পাশ হয়েছে তার ভিত্তিতেই এই পিটিশন বাতিল করে দেওয়া উচিত। তার কথায়, ‘এই মামলা বাতিলের আবেদন জানিয়ে আগে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে জেলা আদালত আগেই একটি রায় দিয়েছে। সেই মামলার শুনানি আবার হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত একটি মামলাও হাইকোর্টে ঝুলছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই রায় দেওয়ার কোনও মানেই হয় না।’ সূত্র : দ্য হিন্দু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন