ইনকিলাব ডেস্ক : প্রত্যেকটি দেশের আচার-আচরণ ভিন্ন। বাইরের দেশে যে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক, নিজ দেশে সেটি হয়তো সামাজিকভাবে খুবই খারাপ একটি বিষয়। ঠিক এ বিষয়টির দিকেই বর্তমানে নজর দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ক্যাম্পাসে যারা নতুন আসে সেসব শিক্ষার্থীদের জাতিগোষ্ঠীগত পার্থক্য এবং বৈচিত্র্যের দিক থেকে তারা যেন হঠাৎ কোনো অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার না হয় বা নিজেরা অপমানজনক কিছু করে না বসে তা শেখানো হবে। একজন শ্বেতাঙ্গ মেয়ে যখন সব শ্বেতাঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে থাকবে তখন তার আচরণ কেমন হওয়া উচিত আর যখন শ্বেতাঙ্গ ছাড়াও অন্য জাতিগোষ্ঠীর বন্ধুরা থাকবে তখন কেমন আচরণ হওয়া উচিত, কোন কথাটা বলা, কোন গানটা শোনা, কোন কাজটা করা বা না করা উচিত ইত্যাদি বিষয়ে তাদের সতর্কতার সঙ্গে শেখানো হচ্ছে।
ক্লার্ক ইউনিভার্সিটিতে এক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমি আমার শ্বেতাঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে থাকি তখন কি আমি নিগার শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এমন গান গাইতে পারব বা শুনতে পারব? তার শিক্ষিকা সিরি মারলো উত্তরে তাকে জানান যে, না সে এ ধরনের কিছু করতে পারবে না। মাইক্রোঅ্যাগ্রেশন হচ্ছে এমন একটা বিষয় যাতে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে মন্তব্য করা হয় বা অপমান করা হয় এবং নেতিবাচক কোনো বার্তা ছড়ানো হয়।
জাতিগত বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানোর এ সেশনটি ছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌনাচরণ কোন বিষয়গুলোতে প্রকাশ পায় এবং সহ-শিক্ষার্থীদের কেউ যদি কোনো ধরনের মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ হয়ে কোনো অসঙ্গত আচরণ করে বা যৌনাচরণ করে তবে তাকে কিভাবে নিবৃত্ত করতে হবে সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন