বেশ কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা শঙ্কর প্রজাতির প্রানী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রত্রিকা সেল এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে কুনমিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জীববিজ্ঞানী এবং আমেরিকান, চীনা এবং স্প্যানিশ গবেষকদের একটি দল জানিয়েছে যে, তারা আংশিক-বানর এবং আংশিক-মানব কোষের সমন্বয়ে একটি শঙ্কর ভ্রুণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
গবেষকরা আশা করছেন যে, এই জাদুকরী বায়োটেকনোলজি দুটি লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। একটি হ’ল, ভ্রুণতাত্তি¡ক বিকাশের জটিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করা, যা অবশেষে মানুষের কিছু জন্মগত রোগের চিকিৎসায় সফলতা এনে দেবে। অন্যটি হ’ল, আশা করা যায় যে, শঙ্কর প্রাণীগুলি একদিন অসুস্থ মানুষের মধ্যে প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গ সরবরাহের একটি উৎস হয়ে উঠবে।
এই সর্বশেষ গবেষণাটির বেশিরভাগই চীনে সম্পন্ন হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের হার্টের ভালভ প্রতিস্থাপনের জন্য শূকর ব্যবহার করেছে। তবে, মানব ভ্রুণের শঙ্কর নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জড়িত হলে কিছু নৈতিক সমস্যার উদয় হতে পারে। কারণ, মানুষের শঙ্কর ঘটানোর গবেষণা নৈতিকতা বিরোধী। যেমন, আমেরিকা এই জাতীয় কাজের জন্য সরকারী অর্থায়ন নিষিদ্ধ করেছে।
এপ্রেক্ষিতে গবেষকরা বলছেন যে, আপাতত বানরদের নিয়ে কাজ করার সুবিধাটি হ’ল, তারা বিবর্তনের দিক থেকে মানুষের অনেক বেশি কাছাকাছি রয়েছে। এর ফলে তারা মানব কোষগুলির মধ্যে সামঞ্জস্যের সমস্যাগুলি সমাধানে কাজে আসতে পারে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন