করোনা মহামারিতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিবহন ও নির্মাতা সংস্থাগুলো। যাত্রী না থাকায় নতুন করে এরোপ্লেন কিনছে না কোনো বিমান সংস্থা। এমন সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে এরোপ্লেনের আদলে তৈরি ভ্যানিটি ব্যাগ। এই ব্যাগগুলোর প্রতিটির দাম ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার, একক ইঞ্জিনবিশিষ্ট সেসনা মডেলের একটা এরোপ্লেনের দামের চেয়েও যা বেশি।
ফ্রান্সের বিখ্যাত ও বিলাসবহুল ফ্যাশন হাউস লুই ভুটন ব্যাগটি তৈরি করেছে। তাদের ব্র্যান্ডের ব্যাগের স্বাভাবিক দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। বাদামি চামড়ার ওপর লুই ভুটনের আদ্যক্ষর ‘এল ভি’ ছাপা ব্যাগগুলোর সর্বনিম্ন দাম হয় দুই হাজার ডলার। এর বাইরেও প্রতিষ্ঠানটি যে পোশাক, ঘড়ি, গয়না, সুগন্ধি ও স্যুটকেস তৈরি করে, সেগুলোর দামও সাধারণের নাগালের বাইরেই থাকে। তবে কিনতে পারুক না পারুক, লুই ভুটনের পণ্য আলোচনায় থাকে সব সময়ই।
সম্প্রতি লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন সেইন্টের টুইটার পেজে লুই ভুটনের ওই ব্যাগের ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, চার ইঞ্জিনের সাধারণ একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের আদলে তৈরি লুই ভুটনের চিরাচরিত ছাপা চামড়ার একটি ব্যাগ। এটি নারীদের জন্য বানানো। কেবল এর দাম নিয়ে নয়, এর আকার নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ বলছেন, এ ব্যাগ কি উড়তে পারে? এ ব্যাগে লিপস্টিক হারিয়ে গেলে কীভাবে খুঁজব? ককপিটে?
আর সেসনা উড়োজাহাজের সঙ্গে দামের তুলনা তো আছেই। করোনার কারণে উড়োজাহাজের দাম পড়ে যাওয়ায় এখন ১৯৬৮ মডেলের ১৫০ এইচ সিঙ্গেল ইঞ্জিনবিশিষ্ট সেসনা উড়োজাহাজের দাম ৩২ হাজার ডলার। ব্যাগের ডিজাইনার ভিরজিল অবলোহ অবশ্য দাবি করেছেন, অনেক ভেবেচিন্তাই এমন একটা নকশা করেছেন তারা। এতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে মানুষের অন্তরে থাকা ‘পর্যটকও প্রকৃতিবাদী’ ধারণা। তিনি মনে করেন, পর্যটকেরা নতুন জায়গায় যান, নতুন কিছু জানতে চান আর প্রকৃতিবাদীরা নিজে থেকেই তা অনুধাবন করেন। এই ডিজাইনের মাধ্যমে তিনি মানুষের দুই সত্তাকে তুলে এনেছেন।
২০২১ সালের নতুন ডিজাইনগুলোর মধ্যে লুই ভুটনের এই ব্যাগ বেশ ব্যতিক্রমী। ফ্যাশনবোদ্ধারাও বলছেন, ফ্যাশনেবল না হলেও প্রতিটি পণ্যই সংগ্রহে রাখার মতো। এই ব্যবসায়িক কৌশল বেশ আলাদা। যারা সংগ্রহে রাখতে ভালোবাসেন, তাদেরই নতুন ডিজাইনের পণ্যগুলো আকর্ষণ করবে বেশি। সূত্র: ডেইলি মেইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন