শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন-তাইওয়ানে টাইফুনের তান্ডব, জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীন ও তাইওয়ানে চলতি বছরের শক্তিশালী টাইফুন মিরান্তির তাÐবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাইওয়ানে আঘাত হানার পর গতিপথ বদলে টাইফুন তাÐব চালায় চীনে। এ সময় চীনে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও তাইওয়ানে এক ব্যক্তি নিহত হয় বলে খবরে বলা হয়েছে। চীনের মূল ভ‚খÐে আঘাত হানার সময় বাতাসে গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। এই গতিবেগ সর্বোচ্চ ২৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাইফুনটি চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের জিয়ামেনে আঘাত হানে। এর আগে তাইওয়ানে তাÐব চালায়। তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপক‚লে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৭০ কিলোমিটার। অপর এক খবরে বলা হয়, ঘণ্টায় ১৪১ মাইল বেগে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে তাইওয়ানে একজনের নিহত হয়েছে এবং প্রায় পাঁচলাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সময় ঝড়টি খানিক শক্তি হারায়। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে ডজন ডজন ফ্লাইট বাতিল ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। লাখো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। আবহাওয়ার বিশেষজ্ঞ সেই পেয়ুন বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতির বাতাসের স্থায়িত্ব বিচারে ২১ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সড়কের ওপর মিরান্তির তাÐব প্রত্যক্ষ করেন। শুধু তাই নয়, উপক‚লীয় এলাকায় ঘরের জানালায় বাতাসের তীব্র ঝাপটা রাতভর মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রাখে। তবে ঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগেই সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর সমুদ্রে সর্বোচ্চ ঢেউয়ের সর্তকতার কথা জানিয়ে জরুরি কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছিল। এর আগে স্থানীয় সময় গত বুধবার দিনভর তাইওয়ানে তাÐব চালায় মিরান্তি। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপক‚লে আঘাত হানার সময় বাতাসে এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৭০ কিলোমিটার, যা ফর্মুলা ওয়ান রেস কারের চেয়েও বেশি। টাইফুনটি তাইওয়ানের সড়কের ওপর পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে দেয়, গাছপালা উপড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগব্যবস্থা। বিভিন্ন স্থাপনা একদিক থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছে অন্যদিকে, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেক এলাকা। পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা, স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে, প্রায় ৪০০ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ট্রেন সার্ভিস। এদিকে মিরান্তির তাÐবে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য। এরআগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের গমনপথে যেসব অঞ্চল রয়েছে, সেখানকার অধিবাসীদের ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং জাহাজসমূহকে পোতাশ্রয়ে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। চীনের সর্ব পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানকার প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার বাড়ি-ঘরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে তাইওয়ানের পূর্ব উপক‚লে ঘূর্ণিঝড় নেপারতাকের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাইওয়ানে অপর একটি ঘূর্ণিঝড় মালাকাস শুক্র ও শনিবার আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, সিনহুয়া, সিএনএন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন