ইনকিলাব ডেস্ক : আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কঠোর সমালোচনা করে তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নবিষয়ক মন্ত্রী ও মুখ্য সমন্বয়ক ওমার সেলিক বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নাক গলানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কি অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতেরও এমনটি করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। সন্ত্রাসীয় সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সম্প্রতি তুর্কি সরকার দেশটির ২৮টি পৌরসভার মেয়রকে বরখাস্ত করে তাদের স্থলে ট্রাস্টি প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। এ বিষয়ে ১১ সেপ্টেম্বর আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উদ্বেগ জানিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশকিছু এলাকায় কিছুসংখ্যক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে তাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া এবং ওইসব পদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সেলিক এধরনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। গত বুধবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আদানার পুজান্তি জেলা শহরে সাংবাদিকদের বলেন, এইগুলো মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিষয় নয়, এমন কি অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতেরও কাজ নয়।
তুর্কি সরকার বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। মন্ত্রী সেলিক বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই সন্ত্রাসবাদকে সহ্য করতে পারে না। যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে গণতন্ত্র আর আইনের একটা সীমা রেখা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোনো পৌরসভার কর্তৃত্ব ও সুবিধা জনগণের স্বার্থে ব্যবহার না করে সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিতে পারেন, এটা অচিন্তনীয় বিষয়। এটা কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রই সহ্য করতে পারে না।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রাদেশিক রাজধানী হাকারী এবং বাটমান এবং ওইসব প্রদেশের আগরি, ভ্যান, দিয়ারবাকির, ইরজুরুম, ইগদির, মারদিন, সানলিউরফা ও মাউস জেলার ২৮ জন মেয়র ও কর্মকর্তাকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করে তাদের স্থলে ট্রাস্টি প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আরটিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন