ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাতব্য সংস্থা ট্রাম্প ফাউন্ডেশন যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে নিউ ইয়র্ক। নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নাইডারম্যান গত মঙ্গলবার থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। ট্রাম্প ফাউন্ডেশন নিউ ইয়র্কের দাতব্য সংস্থা পরিচালনা আইন মেনে চলছে কিনা এ তদন্তের মধ্য দিয়ে সেটিই নিশ্চিত হতে চান বলে জানান তিনি। ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং স্নাইডারম্যানের এ পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাকে মনেপ্রাণে একজন ডেমোক্র্যাট আখ্যা দিয়ে স্টিভেন বলেন, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের দিকে বছরের পর বছর স্নাইডারম্যান কোনো নজরই দেননি। ট্রাম্পের প্রতিদ্ব›দ্বী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমর্থক স্নাইডারম্যান ২০১৩ সালে জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সিএনএন-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে স্নাইডারম্যান বলেন, এখন তার কার্যালয় ট্রাম্পের দাতব্য সংস্থাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে দাতব্য সংস্থাগুলোর তদারককারী হিসেবে বিষয়টি খতিয়ে দেখাটা আমার আওতার মধ্যেই পড়ে এবং ট্রাম্প ফাউন্ডেশন ঠিকমতো কাজ করছে না বলেও আমাদের সংশয় আছে। ট্রাম্প ফাউন্ডেশন আইন মেনে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত হতেই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে ট্রাম্প ফাউন্ডেশন কী ধরনের বেআইনি কাজ করে থাকতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি স্নাইডারম্যান।
অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এক ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন জাতীয় কলঙ্ক। আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর এভাবেই মূল্যায়ন করলেন তিনি। উল্লেখ্য, পাওয়েলই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে কলিন পাওয়েলের ফাঁস হয়ে যাওয়া ব্যক্তিগত ই-মেইল থেকে এসব কথা জানা যায়। শুধু এসব কথা বলেই থেমে যাননি পাওয়েল। ট্রাম্প একজন বর্ণবাদী বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাওয়েল লিখেছেন, ট্রাম্প সম্পর্কে এটাই বিশ্বাস করে ৯৯ শতাংশ মানুষ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ই-মেইলগুলো ডিক্লিকসে প্রকাশিত হয়। সা¤প্রতিক কোনো এক সময়ে এসব মেইল করেছিলেন কলিন পাওয়েল। উল্লেখ্য, রিপাবলিকানদের হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিদ্ব›দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিনটন। পাওয়েলের ঘনিষ্ঠ পেজি সিফরিনো জানিয়েছেন, মেইলগুলো পাওয়েলেরই। তবে এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পকে জাতীয় কলঙ্ক উল্লেখ করে মেইলটি পাওয়েল লিখেছিলেন গত জুন মাসে। ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডবিøউ বুশের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন কলিন পাওয়েল। জর্জ ডবিøউ বুশ ছিলেন রিপাবলিকান। এবার রিপাবলিকানদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়াইকারী ট্রাম্পকে তুলাধোনা করে ছেড়েছেন পাওয়েল। ট্রাম্প আশাবাদী তিনি আফ্রো-আমেরিকানদের ভোটে জিতে নেবেন। আর এ সম্ভাবনাকে একদমই উড়িয়ে দিয়েছেন পাওয়েল। কলিন পাওয়েলই প্রথম আফ্রো-আমেরিকান, যিনি মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের শীর্ষ পদে যান। রয়টার্স, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন