সোমবার থেকে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই চলছে গাজায়। ইজরাইল এবং হামাসের যুদ্ধের ভয়াবহতা এবার ২০১৪ সালের যুদ্ধের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কোথাও লড়াই থামার কোনও লক্ষণই নেই। বুধবারও রাতভর বিস্ফোরণ চলেছে। বৃহস্পতিবার স্থল হামলার প্রস্তুতি নিতে গাজা সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে ইজরাইল।
প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও রকেট হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ার পাশাপাশি ইজরাইলে আরব মুসলমান-ইহুদিদেরও সংঘাত দেখা দিয়েছে। ইহুদি ইজরাইলি ও আরব সংখ্যালঘুদের সংঘাত রাতে আরও তীব্রতর রূপ নিয়েছে। ইহুদি উপসানালয় সিনাগগে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি রাস্তায়ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে দুই সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
চারদিন আগে শুরু হওয়া সংঘাত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উত্তেজনা কমাতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন দূত হেদি আমরকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বৈরিতার অবসান চেষ্টার কোনো ফল আসছে না, অগ্রগতি নেই। গাজায় হামলা চালিয়ে একটি ছয় তলা আবাসিক ভবন মাটিতে ধসিয়ে দিয়েছে ইজরাইলি বাহিনী। সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪টি শিশু ও এক নারী রয়েছেন।
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন চাপ তৈরি করেছে ইসরায়েলি হামলা। হাসপাতালগুলোতে আহতের ভিড় উপচে পড়েছে। নির্মাণ শ্রমিক আসাদ কারাম বলেন, আমরা ইজরাইলির বিরুদ্ধে লড়ছি। আমরা এখন দুই শত্রুর মধ্যে অবস্থান করছি।ইজরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, গাজা সীমান্তে স্থলযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে আমরা স্থল অভিযানে যাবো।
প্রসঙ্গত, ২০০৮-২০০৯ ও ২০১৪ সালে গাজায় একই ধরনের অভিযান চালিয়েছিল ইজরাইল। হামাসের বিভিন্ন সামরিক সক্ষমতায় হামলা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন