শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাইফস্টাইল

কাঁঠালের যত গুণ

| প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২১, ১২:০৪ এএম

এখন আম কাঁঠালের মৌসুম। এসময়ে মেডিসিনমুক্ত কাঁঠাল খেতে পারলে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের সরবরাহ অনেকটা নিশ্চিত করা যায় ও শরীর সুস্থ থাকে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সময়মত যথাসম্ভব সচেতন হওয়া দরকার।

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটা আমাদের সুপরিচিত, সুস্বাদু, রসালো ও অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। কাঁঠাল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ফল। আমাদের এ উপমহাদেশে কাঁঠালের ইতিহাস প্রায় ৫ হাজার বছরের পুরনো। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে প্রচুর কাঁঠাল হয়। বাংলাদেশের গাজিপুর ও সাভার কাঁঠালের জন্য পরিচিত। কাঁঠাল বিভিন্নভাবে আমাদের উপকারে আসে, রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খাদ্য হজমে সাহায্য করে। কাঁঠাল শরীরের ক্ষয় প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যনিরোধক হিসেবে কাজ করে ও চামড়ায় বলিরেখা তৈরি হতে দেয় না। এটা দাঁত ও দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, শরীরে লৌহ পূরণে সাহায্য করে ও রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। কাঁঠাল কোলেস্টারোল মুক্ত ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল।

নিয়মিত কাঁঠাল খেলে হার্ট ভালো থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হার্টএটাক ও স্ট্রোক থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। কাঁঠাল মাংসপেশি ও স্নায়ুকে সবল ও শিথিল করে। তাই কাঁঠাল খেয়ে খুব সহজেই নাক ডেকে ঘুমানো যায়। কাঁঠালে প্রচুর ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে হাড় মজবুত থাকে, হাড়ের ভংগুরতা কমায় ও বিশেষ করে বয়সকালে তা কাজে লাগে। কাঁঠাল খেলে চুলপড়া কমে, চুলের রং কালো ও ঝলমলে হয়। কাঁঠালের বীচি খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এটা বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর, শরীরে উদ্ভিজ প্রোটিন যোগানোর একটি সস্তা ও নিরাপদ উৎস। মাছ, মাংস ডিম, দুধ ও ডালের পাশাপাশি এটা আমাদের প্রোটিনের চাহিদা অনেকটা পূরণ করতে পারে। কাঁঠালের রসে প্রচুর ভিটামিন ও এন্টিঅক্সিডেনট থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে চামড়া সুন্দর হয়। কয়েকটা খোসা ছাড়ানো শুকনো কাঁঠালের বীচি, এক কাপ দুধ ও ২ চামচ মধুর মিশ্রণে ভিজিয়ে রেখে, বেটে পেস্ট করে পুরোপুরি শুকোনো পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে চামড়া চকচকে, টানটান ও সুন্দর হয়।

কাঁচা কাঁঠালের তরকারী খেতে খুব মজার। কাঁচা কাঁঠাল কেটে তার সাথে প্রয়োজনমত নারিকেলের রস, মশলা ও চিংড়ী মাছসহ রান্না করলে সবাই মিলে পেটপুরে, চেটেপুটে খাওয়া শেষ করা যায়।

ডা. এন ইউ মাহমুদ
ফোন-০১৯৩৭৪৮৪৫৫৮

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন