শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তার ঘোষণা চীন ও মিসরের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে চীন। শুক্রবার চীনের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোন্ডঅপারেশন এজেন্সির (সিআইডিসিএ) মুখপাত্র তিয়ান লিনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। তিনি বলেন, গাজায় বাস্তুচ্যুতদের আবাসন এবং আহতদের সাহায্যে চীন সহায়তা পাঠাবে। এছাড়া গাজায় পুনর্নির্মাণ ও চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। বিষয়টি দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, প্রেসিডেন্ট এক আবদেল ফাত্তাহ বিবৃতিতে বলেছেন, সা¤প্রতিক ঘটনার ফলস্বরূপ গাজা উপত্যকায় পুনর্নির্মাণের জন্য মিশর ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সরবরাহ করবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ মিশরীয় নির্মাণ সংস্থাগুলি পুনর্নির্মাণকে বাস্তবায়িত করবে। জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয় দফতরের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে অন্তত ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
অধিকৃত জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপনে গত ২৫ এপ্রিল ইসরাইলি আদালতের আদেশের জেরে ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পরপর কয়েক দফা মসজিদুল আকসায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত এই সকল হামলায় এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক দফতর ইউএনওসিএইএ।
মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখন্ডে শত শত রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইসরাইল ভূখন্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ’ গাজাবাসী। গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। মিসরীয় উদ্যোগে এই যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টায় ইসরাইলি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যকর হয়। সূত্র : আলজাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Reduanul Islam ২২ মে, ২০২১, ১:১৪ এএম says : 0
পরিকল্পনার মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা সম্ভব হলে স্থায়ী শান্তি আসবে।অন্যথায় এভাবে চলতে থাকবে
Total Reply(0)
Jannat ২২ মে, ২০২১, ১:৩২ এএম says : 0
হে দয়াময় রহমান, ফিলিস্তিনকে শক্তিশালী রাষ্ট্র বানিয়ে দাও, ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দাও।
Total Reply(0)
Jhorna Ahmed ২২ মে, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
যুদ্ধ বিরতি মানে যুদ্ধ শেষ নয় বরং আরো কৌশল প্রয়োগের ক্ষেত্র তৈরী করা। আরো প্রবল ভাবে যুদ্ধ করার মনোবাসনা। প্রত্যেক মুসলিম দেশ ও জাতির এই বিষয়ে সর্তক থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা উচিত।
Total Reply(0)
Safikul Islam ২২ মে, ২০২১, ৩:০৯ এএম says : 0
আমরা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র খুব তাড়াতাড়ি স্বাধীনতা দেখতে চাই
Total Reply(0)
সফিক আহমেদ ২২ মে, ২০২১, ৩:১১ এএম says : 0
ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণে সহায়তার দরকার নেই, দরকার তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং নিজ জন্মভুমি উদ্ধারে।
Total Reply(0)
Kamran Uddin Rayhan ২২ মে, ২০২১, ৩:১৩ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ। হামাসের শক্ত প্রতিরোধ এবং বহির্বিশ্বের চাপে টানা ১১ দিন পরে আজ শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি দিয়েছে ইজরাইল-হামাস। বিজয়ের আনন্দে গাজাবাসী রাস্তায় নেমে বিজয় উদযাপন করতেছে। খাদ্য, পানি, চিকিৎসা, সামরিক সব দিক থেকে অবরুদ্ধ একটা গোষ্ঠী শুধুমাত্র ঈমানের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তিকে কীভাবে রুখে দিতে পারে, গাজাবাসী এবং হামাস তার জ্বলন্ত উদাহরণ।
Total Reply(0)
জব্বার ২২ মে, ২০২১, ৩:১৩ এএম says : 0
মানবতাকামী সকল দেশের উচিত এগিয়ে আসা
Total Reply(0)
Mehedi ২২ মে, ২০২১, ৭:০৮ পিএম says : 0
All Muslim countries should think about nuclear weapons. For the sake of security and safety It is a matter of time
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন