ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ায় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটির ১১টি সময় অঞ্চল রয়েছে। দূরপ্রাচ্য অঞ্চলে গতকাল রোববার প্রথম ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমর্থকদের আধিপত্য রয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাশিয়ায় এর আগেরবার অর্থাৎ ২০১১ সালে সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে গণবিক্ষোভ দেখা যায়। ওই নির্বাচনে পুতিনের সমর্থকরা নিরঙ্কুশ জয় পান। এই প্রথমবার ক্রিমিয়ায় সংসদ নির্বাচন করছে রাশিয়া। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করে রাশিয়া সরকার। রাশিয়ার জাতীয় সংসদের নাম ডুমা। জনগণের ভোটে এর নি¤œকক্ষের ৪৫০ জন সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। গত বছর নি¤œকক্ষে পুতিনের বিরোধী হাতেগোনা কয়েকজন সংসদ সদস্য ছিলেন। অর্থনৈতিক ধস এবং সিরিয়া ও ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চরম মতবিরোধ এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষদের ধারণা, এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উৎসবমুখর নয়। ভোট গ্রহণের হারও অনেক কম।
এদিকে, নির্বাচনে জয়-পরাজয় সম্পর্কিত পূর্বাভাস দেয় কেন্দ্রফেরত ভোটার জরিপ। এ ধরনের প্রথম জরিপ আজ সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর বিরোধী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের কেউ কেউ এবার টিভি ডিবেটের সুযোগ নিয়েছেন, পুতিনের শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভানলিকে ক্যাম্পেইন চালাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্রিমিয়ায় নির্বাচন করা নিয়ে রাশিয়ার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়ানা বেস্তা জানিয়েছেন, তাদের দেশে কিছুতেই রাশিয়ার নির্বাচন হবে না-রাশিয়ার কূটনৈতিক ও কনস্যুলার ভবনেও না। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রায় ৮০ হাজার ভোটার রয়েছেন। এ নির্বাচনে তারা সে দেশে থেকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন