ডোনাল্ড ট্রাম্প চলে গিয়ে আমেরিকার মসনদে এসেছেন জো বাইডেন। করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু এর মধ্যেই ফের পুরনো অভিযোগে আবার অভিযুক্ত হতে হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। স্বভাব যায় না কিছুতেই। এই প্রবাদ বাক্যটা বোধহয় আমেরিকার জন্য একেবারে সঠিক। বিশ্বের ওপর দাদাগিরি করার পুরনো বদঅভ্যাস আজও ছাড়তে পারিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বেশ গুরুতর অভিযোগ। ২০১৩ সালের পর আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের উপর আমেরিকার চরবৃত্তির অভিযোগ উঠল। এবার ডেনমার্কের সাহায্যে এই চরবৃত্তি চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠল। রবিবার ডেনমার্ক সহ ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমে চরবৃত্তি সংক্রান্ত এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউরোপের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর চরবৃত্তি করেছিল আমেরিকা।
এর মধ্যে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও। ডেনমার্ক সেনার গোয়েন্দা শাখা এফই-র সঙ্গে নজরদারি সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে আমেরিকার। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেই চুক্তিরও সুযোগ নিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)। এদিকে, সোমবার এই রিপোর্ট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল ফ্রান্স। মন্ত্রী ক্লেমেন্তে বিউনে বলেন, ‘এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। আমেরিকাকে সহায়তা করতে গিয়ে ইউনিয়নের সহযোগী দেশ ডেনমার্ক সত্যিই কোনও ভুল করেছিল কিনা, তা এখন তদন্ত করে দেখতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে সুইডেনও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হুল্কভিস্ট বলেন, ‘আমেরিকার কথায় কেন মার্কেল সহ ইউরোপের রাজনৈতিক নেতাদের উপর চরবৃত্তি করা হল, ডেনমার্ককে তা জানাতে হবে। জোটসঙ্গী দেশের নেতাদের ফোনে আড়িপাতা মানা যায় না।’ জার্মানি ও আমেরিকা এখনও সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মার্কিন হুইসেলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন এমন অভিযোগ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বা সিআইএ’র তরফে এই অভিযোগের পাল্টা কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। বিদেশ সচিবের অফিস থেকেও নেই কোনও বিবৃতি। অর্থাৎ ব্যাপারটা যে আমেরিকা জেনে-বুঝেই ঘটিয়েছিল সেটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। সূত্র : নিউজ১৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন