এ মুহূর্তে এই হ্যাশট্যাগ নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী চেয়ে একের পর এক ট্যুইট ভেসে উঠছে। টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ড, আগামিদিনে প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর এই ট্রেন্ডিংকে কটাক্ষ করল বঙ্গ বিজেপি।
একুশে বিধানসভা নির্বাচনে মোদি-শাহের বাংলা দখলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তার সরকারই। শুধু তাই নয়, সদ্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যুতেও কেন্দ্রকে মাত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই টুইটারে শুরু হয়েছে , ‘#BengaliPrimeMinister’।
তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক থেকে বহু নেটিজেনও একই দাবি তুলেছেন। কেউ লিখেছেন, ‘বাংলার মেয়েকে চায় ভারত।’ কেউ লিখেছেন,”এই স্বৈরচারি সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।”
রাজ্যের মন্ত্রী তথা শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি টুইট করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ আজ যা ভাবে, আগামিকাল তা ভারত ভাবে। ওদের (বিজেপির) সুনার বাংলা মডেল বাজেভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ওদের সময় ভারত ধুঁকছে। কিন্তু উন্নয়নের মডেল চালু করে বাংলাকে যেমন এগিয়ে যাচ্ছেন, তেমনভাবেই (দেশকে) এগিয়ে নিয়ে যাবেন দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। তাই আগামিদিনে আমাদের চাই বাঙালি প্রধানমন্ত্রী (#BengaliPrimeMinister)|
তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, ‘গোটা ভারত চাইছে এবার, কন্যাশ্রী তারাও পাক, হাসপাতালে পয়সা ছাড়া, ভারত ছাড়া দাড়ি, টাক.. দেশ চাইছে সবুজসাথী ফ্রি রেশনের মিষ্টি ভাত, গ্রামে গ্রামে জীবন বদল নতুন খেলায় ভারত মাত.. দুর্গা এবার দিল্লি পানে, দেশ মেতেছে নতুন গানে, আমিও আছি, তুমিও রবে #DidiEbarPMHobe (দিদি এবার প্রধানমন্ত্রী হবেন)।’ এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘এটা আসলে মানুষের দৃষ্টিটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল। যেখানে রাজনৈতিক হিংসায় এক লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া, বিজেপি করার অপরাধে বহু মহিলা নির্যাতিতা সেই পরিস্থিতিতে ওনার দল ওনাকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রধানমন্ত্রী করার জন্য বিজ্ঞাপন করছে’।
সায়ন্তনের কটাক্ষ, ‘দেশে ৫৪৩ লোকসভা কেন্দ্র। ২৭২ টা আসন না পেলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। তৃণমূল এরাজ্যে ৪২-এ ৪২ পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কারণ অন্য রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস খায় না মাথায় দেয়-সেটা কেউ জানে না। তাই উনি ওনার মতো করে দিবাস্বপ্ন দেখুন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই। ততদিনে উনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা সন্দেহ’!
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে মোদি সরকার। বাংলাতেও ভাল ফলে করে বিজেপি। সেই সময় থেকেই মোদী-মমতার সংঘাত। বিধানসভা নির্বাচনে সেই সংঘাত তীব্র হয়েছিল। সম্প্রতি ঊর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত চরমে পৌঁছয়। সেই সংঘাতের রেশ দ্বিগুণ করে এক্সটেনশনে থাকা রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়াদিল্লিতে রিপোর্ট করতে বলে কেন্দ্র। যা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা। আলাপন চাকরিতে এক্সটেনশন না নিয়ে অবসর নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন