ইনকিলাব ডেস্ক : থাইল্যান্ডের চাও ফ্রাইয়া নদীতে একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌযান ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গত রোববার বিকালে ডুবে যায় নৌযানটি। পরে সেখান থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত সোমবার আরও একজনের লাশের সন্ধান পায় ডুবুরিরা। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। খবরে বলা হয়, রোববার বিকালে প্রাচীন নগরী আয়ুথায়ার কাছে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই একটি নৌযান শক্তিশালী ঢেউয়ের আঘাতে কংক্রিটের একটি বাঁধের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেলে ডুবে যায়। এ সময় নৌযানটির যাত্রীরা একটি মসজিদ থেকে ফিরছিলেন। নৌযানটির আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন শিশু রয়েছে। আয়ুথায়ার ডেপুটি গভর্নর রেওয়াত প্রাসং বলেন, এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে নৌযানটির ক্যাপ্টেনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নৌযানটিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে তার বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে। আয়ুথায়া পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা সুধি পুয়েঙ্গপিকুল বলেন, নৌযানটিতে একসঙ্গে প্রায় ৫০ জনের ভ্রমণের অনুমতি থাকলেও তাতে শতাধিক যাত্রী তোলা হয়েছিল। নৌযানটি নদীর তীরের কাছে ডুবে না গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেত বলেও মনে করেন তিনি। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন