রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জাহাজ আটকে সুয়েজ খাল বন্ধে ক্ষতিপূরণ চুক্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলতি বছরের মার্চের শেষের দিকে ‘এভার গিভেন’ নামের একটি কনটেইনার জাহাজ আটকা পড়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিপিং লেন সুয়েজ খাল অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় মিসর প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব হারায়। ফলে তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। অবশেষে এই ক্ষতিপূরণ নিয়ে মিসর এবং এভার গিভেন জাহাজের মালিকদের মধ্যে একটি ‘প্রাথমিক’ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান (এসসিএ) প্রধান এই তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ডিএমসি টিভির সাথে একটি সাক্ষাৎকারে এসসিএ প্রধান ওসামা রাবি বলেছেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষ, জাহাজের মালিক এবং বীমাদাতাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পরে প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছি।’ মিসরীয় এই কর্মকর্তার মতে, দুই পক্ষই এখন চুক্তিটি ‘চূড়ান্ত পর্যালোচনা’ করছে যা, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি স্বাক্ষরিত হতে পারে। জাহাজটির বিমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ইউকে ক্লাবও একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে, পক্ষগুলোর মধ্যে ‘নীতিগত’ চুক্তি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাহাজের মালিক এবং অন্যান্য বিমা প্রদানকারীদের সাথে একত্রে আমরা এখনই এসসিএর সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে জাহাজটি মুক্তি দেয়া উচিত, যা মার্চ থেকে মিশরীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে ছিল।’ ইউ কে ক্লাব নির্দিষ্ট কিছু ক্ষতির জন্য এভার গিভেনের মালিককে বীমা করিয়েছে। জাহাজটি এবং এর পণ্যসম্ভার পৃথকভাবে বীমা করা হয়েছিল। তবে, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রাবি বলেছেন যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত পক্ষগুলো কিছুই প্রকাশ না করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২ লাখ টনেরও বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এভার গিভেন গত ২৩ মার্চ সুয়েজ খালে আটকে যায়। যার ফলে খালটিতে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পথে বিশ্বের সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ পরিচালিত হয়। এই অবরোধ ছয় দিন স্থায়ী হয়েছিল। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের (এসসিএ) মতে, অবরোধের কারণে মিসরের প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, কায়রো ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার দাবি করেছিল। এর পরে তারা দাবির পরিমাণ কমিয়ে ৬০ কোটি ডলার ও সর্বশেষ ৫৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করে। এভার গিভেনের কারণে ২ কোটি ৬০ লাখ টন মালামাল বহনকারী মোট ৪২২ টি জাহাজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সূত্র : আফ্রিকান নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন