লাদেন হত্যার অভিজ্ঞতায় আইএস দমনে হিলারির কৌশল
ইনকিলাব ডেস্ক : জিহাদি সংগঠন আইএসকে থামানোর পরিকল্পনা করছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে গ্রেফতার কিংবা হত্যা করার অগ্রবর্তী তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম। হিলারির নির্বাচনী প্রচারণা টিমের উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বড় ধরনের আক্রমণ ঠেকাতেই এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে নিজ থেকে যারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে তাদের শনাক্ত করা কঠিন। খবরে বলা হয়, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হতে পারে। হিলারির নির্বাচনী প্রচারণা শিবির থেকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।
২০১৫ সালের গোড়ার দিক থেকেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আইএসের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর হয়ে উঠে। যদিও হিলারির পরিকল্পনাকে ওই তৎপরতার বিস্তৃতি বা যুক্তরাষ্ট্রের আইএস-বিরোধী লড়াইয়ের পথে একটি বৃহত্তর উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। এদের হামলা প্রতিহত করতেই এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। খবরে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদিকে গ্রেফতার কিংবা হত্যার উদ্দেশ্যে তার অনুসন্ধান প্রক্রিয়া জোরদার করা হবে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যেভাবে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন সেই অভিজ্ঞতাও মাথায় রাখা হবে। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ওপর জোর দেয়া হবে।
অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটবাহিনী এবং রাশিয়ার ধারাবাহিক বিমান হামলায় বিপর্যস্ত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়া ও ইরাকে তাদের দখলে থাকা কতোটা এলাকার হারিয়েছে তার একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে একটি সংবাদ মাধ্যম। সিরিয়ার কোবানে, মানবিজ ও পালমিরার মত গুরুত্বপূর্ণ শহর আইএস-এর হাতছাড়া হয়ে গেছে; আলেপ্পো এবং ইরাকের মুসলে চলছে জোর লড়াই। আইএস এর কথিত খিলাফতে’র মধ্যে থাকা এক চতুর্থাংশ জায়গা গত দেড়বছরে তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে গত জুলাইয়ে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আইএইচএস কনফ্লিট মনিটার, যারা সিরিয়া ও ইরাকের যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে আসছে। আইএইচএস এর বিশ্লেষকরা মানচিত্রের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এক কোটি জন অধ্যুষিত এলাকা আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, এখন তা ৬০ লাখে নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সুযোগে সেখানে মাথাচাড়া দিয়েছিল আইএস। বিবিসি, দি গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন