ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি ইউরোপ। ফলে ইউরোপের ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট স্কিম’ থেকে বাদ পড়তে পারেন এই ভ্যাকসিন নেয়া কয়েকলাখ ব্রিটিশ নাগরিক। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
যারা করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদেরকে অবাধে বিচরণের জন্য নতুন কোভিড পাসপোর্ট চালু করেছে ইউরোপ। তবে সেখানে ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ডোজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি কারণ তারা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) দ্বারা অনুমোদিত নয়। যুক্তরাজ্য এমন অনেক দেশের মধ্যে রয়েছে যারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্মিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ সংস্করণ অনুমোদন করেছে। এটি মূলত অ্যাস্ট্রাজেনেকার মূল ভ্যাকসিনের ফর্মুলায় তৈরি করা হয়েছে।
ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৫০ লাখ ডোজ ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। যারা এটি গ্রহণ করেছেন তাদের কার্ডে বা এনএইচএস অ্যাপ্লিকেশনে উল্লেখিত ব্যাচ নম্বর দিয়ে এটি চিহ্নিত করা যায়। এই ভ্যাকসিন গ্রহণকারী ব্রিটিশদেরকে ইইউ সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে।
দরিদ্র দেশগুলোর সাথে ভ্যাকসিন ভাগ করে নিতে জাতিসংঘের ‘কোভাক্স’ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে ভারত, বাংলাদেশসহ অন্যান্য যেসব দেশের নাগরিকরা ‘কোভিশিল্ড’ নিয়েছেন, তারা ইউরোপে ঢুকতে সমস্যায় পড়বেন। তবে ইইউ সদস্য দেশগুলো চাইলে আলাদাভাবে ইএমএ’র অনুমোদন না পাওয়া ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদেরকে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারবে।
জার্মানি, স্পেনসহ নয়টি ইইউ সদস্য দেশ কোভিশিল্ড সংস্করণ গ্রহণ করবে বলে ভারতকে আশ্বস্ত করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এই তথ্য জানিয়েছে। ইএমএ বৃহস্পতিবার বলেছে যে, তারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্মিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সংস্করণ কোভিশিল্ড অনুমোদনের জন্য কোনও আবেদন পায়নি। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন