ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শারলটে কৃষ্ণাঙ্গ কিথ ল্যামন্ট স্কটকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে পুলিশ। অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের বডিক্যাম ও ড্যাশক্যামের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঘটনা পরিষ্কার বোঝা সম্ভব নয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন স্কটের পরিবার। পুলিশের দাবি, তার কাছে বন্দুক ছিল। পরিবারের অভিযোগ, নিরস্ত্র স্কটকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে শারলট। বিক্ষোভকারীরা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় গত শনিবার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে নিহত হন স্কট। স্কটের পরিবারের দাবি, তার হাতে বই ছিল, বন্দুক নয়। কিন্তু শনিবার পুলিশ দুটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্কটের কাছে বন্দুক ও গাঁজা ছিল। তবে স্কটের স্বজনরা ছবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। শারলট পুলিশের প্রধান কেরি পুটনি বলেছেন, সত্যি সত্যি স্কটের কাছে বন্দুক ছিল। ড্যাশক্যামের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি থেকে বেরিয়ে পেছনে হাত রেখে এগিয়ে আসছেন স্কট। তার হাতে কিছু ছিল কিনা, তা পরিষ্কার নয়। এরপর চারটি গুলি চলে এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ড্যাশক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হাত নামানো অবস্থায় গাড়ির বাইরে আছেন স্কট। গুলি করার মুহূর্ত ফুটেজে দেখা যায়নি। তবে ভিডিও থেকে এটি মোটেও পরিষ্কার নয়, স্কটের হাতে বন্দুক ছিল এবং তিনি পুলিশের দিকে বন্দুক তাক করেছিলেন। স্কট হত্যা মামলায় তার পরিবারের নিয়োগ করা আইনজীবী জাস্টিন ব্যামবার্গ দাবি করেছেন, আর কিছু না হোক, প্রকাশিত ভিডিও ঘটনা সম্পর্কে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। স্কটের হাতে বন্দুক থাকার কোনো প্রমাণ নেই ভিডিওতে। যে দুটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, তার একটি এক পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকা ক্যামেরায় (বডিক্যাম) ধারণ করা। দ্বিতীয়টি প্যাট্রোল পুলিশের গাড়িতে থাকা ক্যামেরায় (ড্যাশক্যাম) ধারণ করা। স্কটের ওপর হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাও একজন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান। তার কাছে বডিক্যাম ছিল। বিবিসি, এপি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন