ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ১৭ মার্চ পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট প্রক্রিয়া শুরু করবে। গত সোমবার পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে এই তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনের পরপরই ১ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) নেতৃত্বাধীন সরকারের কার্যক্রম শুরু হবে। সু চির হাত ধরেই অর্ধশতাব্দী পর মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, উভয় কক্ষ থেকে একজন করে মোট দুই জন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পাবে। আর সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসনের স্থায়ী সদস্য সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা তাদের মধ্য থেকে একজন প্রার্থী দেবে। পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। হেরে যাওয়া বাকি দু’জন প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবে।
গত বছর ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। নির্বাচনে দলটি প্রায় ৮০ শতাংশ আসন পায়। নিজ আসনে সু চিও জয়লাভ করেন। কিন্তু সু চির দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানদের কেউ বিদেশি নাগরিক এমন ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির স্বামী যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন। তার সন্তানও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। সু চিকে প্রেসিডেন্ট করতে হলে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। এনএলডি ও সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। যদিও সংসদে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থিন সান নাইং গত সোমবার বলেন, সু চিকে দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট করার পথ প্রশস্ত করতে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে এনএলডি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। সংবিধানের ৫৯ (এফ) অনুচ্ছেদ নিয়ে সেনাবাহিনী ও এনএলডি’র মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এই অনুচ্ছেদ বাতিল করা সম্ভব না। কারণ, এটি সংবিধান পরিপন্থি। এটি নিয়ে এরই মধ্যে সংসদে আলোচনা হয়ে গেছে। তাই আবারও এ প্রস্তাব উত্থাপন করা বা আলোচনা করা উচিত হবে না। একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই সংবিধানে এই অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপ থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে। রয়টাস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন