বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া সংকট মোকাবেলায় এখনই ‘বিশ্ব সবুজ চুক্তি’ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন যুক্তরাজ্যে, ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের নোতারা। তারা বলেন, পৃথিবীর সুস্থতা ও স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে এর কোন বিকল্প নেই। যেভাবে সারাবিশ্ব করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছে ঠিক একইভাবে লড়তে হবে আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরুদ্ধেও। কারণ করোনা মহামারি থেকে আরও বেশি ভয়াবহ হতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া সংকট। নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগোতে জাতিসংঘের যে আবহাওয়া সম্মেলন হবে সেখানে সবুজ অর্থনীনৈতিক নীতি এবং নতুন ‘সবুজ চুক্তি’ বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স। জোটটিতে বর্তমানে ১৯ দেশের ২১ জন সদস্য আছেন। মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর বলেন, সম্প্রতি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আবহাওয়া সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যা মানব সভ্যতার জন্য হুমকি। আবহাওয়া মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে আমরা ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে দাবানল ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, ঘনঘন ঘুর্ণিঝড় হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র তাপদাহ দেখা দিয়েছে, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বন্যা হচ্ছে। বিশ্ব নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে না পারলে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে। আবহাওয়া বিষয়ক জোটটি চায় প্রতিটি দেশ সবুজ অর্থনীতিতে গুরুত্ব দেবে এবং করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রমে একে অপরকে সাহায্য করবে। কার্বন নির্গমন বন্ধের পাশাপাশি বিশ্বের গরিব দেশগুলোকে সাহয্যের আবেদনও জানায় তারা। ম্যানন অব্রি, ফরাসি এমইপি বলেন, সরকারকে অবশ্যই সামাজিক ন্যায় বিচার এবং আবহাওয়া বিষয়ে নজর দিতে হবে। কারণ আবহাওয়া সংকট অধিক থেকে অধিকতর হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বৈষম্য এবং দারিদ্রতার হার অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও কার্যকর আবহাওয়ানীতি চাই তাহলে মুক্তবাণিজ্য ও মুক্তবাজার অর্থনৈতিক আদর্শে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। ব্রাজিলের ফেডারেলে প্রথম নির্বাচিত প্রতিনিধি আদিবাসী নারী জোয়ানিয়া ওয়াপিচানা বলেন, সবুজ চুক্তির গুরুত্ব বুঝতে পেরেই আমি এ জোটে যোগ দিয়েছি এবং আবহাওয়া সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি। দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন