ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের ওড়িশার কালাহান্ডির দানা মাঝি হাসপাতালের কাছে কোনো সহায়তা না পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। সে ঘটনা বেশ সাড়া ফেলে ভারতে ও বাইরের দেশগুলোতেও। আর্থিক অসচ্ছলতার কালো হাত যেন সরছে না ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। এবার বিহারে কাটিহারের চিন্টু শা’র পরিবারের সদস্যদেরও একই অবস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো সাহায্য না করায় প্লাস্টিকে মোড়া দেহ নিয়ে ভাগলপুরের পথে হাঁটতে শুরু করেন তারা। তবে দু’কিলোমিটার যাওয়ার পরেই ডিএমের হস্তক্ষেপে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু এই ‘দু’কিলোমিটার হাঁটার’ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিপাকে পড়ে রাজ্য সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য সচিবের কাছে রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীতে ডুবে মারা যায় চিন্টু। রবিবার কাটিহারের কুরসেলা থানার পুলিশ পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে। কাটিহার সরকারি হাসপাতালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা সেটির ময়নাতদন্তের জন্য ভাগলপুরের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে তারা অস্বীকার করে। নিরুপায় পরিবারের সদস্যরা প্লাস্টিকে মোড়া দেহটি নিয়ে পায়ে হেঁটে ভাগলপুরের দিকে রওনা দেন। কাটিহারের জেলাপ্রশাসক লালনজি বলেন, ‘তারা দু’কিলোমিটার চলে যাওয়ার পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর ব্যবস্থা করি। আনন্দবাজার পত্রিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন