রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নির্যাতনের সংস্কৃতির অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা

প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ডে ‘নির্যাতনের সংস্কৃতি’র অনুমোদন দিয়েছে সে দেশের সামরিক সরকার। এক প্রতিবেদনে তারা দাবি করেছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সামরিক সরকার ওইসব কাজ করছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জান্তা সরকার। গত বুধবার এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এসব কথা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে জান্তা সরকারের নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের ৭৪টি অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এরমধ্যে সেনাসদস্য এবং পুলিশের হাতে মারধর ও ওয়াটারবোর্ডিং বা পানিতে চুবিয়ে নির্যাতনের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতিতে বন্দির মুখ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নাক-মুখ দিয়ে পানি প্রবেশ করানো হয় এবং এর মাধ্যমে বন্দির মনে পানিতে ডুবে মরার আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে তারা দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র স্যানসার্ন কায়েকামনার্ড। তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ উঠার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়েছি। এতে নির্যাতনের কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। থাইল্যান্ডের জনগণ এমন কিছু পায়নি। এ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গত বুধবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তবে শেষ মুহূর্তে কর্মকর্তাদের সতর্কবাণীর প্রেক্ষিতে সেটি বাতিল হয়ে যায়। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, শ্রম আইনের আওতায় এ অনুষ্ঠানের বক্তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে অ্যামনেস্টি এশিয়ার মিডিয়া ম্যানেজার ওমর ওয়ারাইচ-এর সঙ্গে কথা বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওমর ওয়ারাইচ বলেন, আমরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে থাই সরকারকে বেছে নেইনি। আমরা এখানে বিজনেস ভিসায় রয়েছি। থাইল্যান্ডে আমাদের অফিস রয়েছে। সাউথ ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক রাফেন্দি জামিন। তিনি বলেন, সামরিক শাসকেরা নির্যাতনের সংস্কৃতির উত্থান ঘটিয়েছেন। এখানে অপরাধীদের জন্য কোনও জবাবদিহিতা নেই। ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার নেই। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মানবাধিকারের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আসছে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা। থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানের নায়ক ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বলেছেন, প্রতিটি দেশেরই কঠিন সময় যায়। কয়েক মাস আগে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি থাইল্যান্ডের জান্তা সরকারের সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করেন। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন