ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭ পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ায় তৈরি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইলের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা গত বুধবার দাবি করেছেন। তদন্তকারীরা বলেন, বাক মিসাইলের আঘাতেই যে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছিল, এ ব্যাপারে তাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। মিসাইলগুলো রাশিয়া থেকে পূর্ব ইউক্রেনে আনা হয়েছিল। তদন্তকারী দলের প্রধান উইলবার্ট পলিসেন বলেন, মস্কোপন্থী বিদ্রোহীরা ভ্রাম্যমাণ স্যাম মিসাইল চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পূর্ব ইউক্রেনে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ওই অস্ত্র এসে পৌঁছার কথাও জানিয়েছিল তারা। এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, যৌথ তদন্তদলের কাছে এই তথ্যসহ অন্য যেসব উপাত্ত রয়েছে, তা থেকে প্রমাণ করা যায়, বাক মিসাইল দিয়েই এমএইচ১৭ ফ্লাইটটিকে ভূপাতিত করে হয়েছিল। এ ঘটনার পর মিসাইলগুলো রাশিয়াকে ফেরত দিয়ে দেয় বিদ্রোহীরা। নেদারল্যান্ডসের পৃথক একটি তদন্তেও বিমান ভূপাতিত হওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৭ জুলাই আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানটি ইউক্রেনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ২৯৮ জনের সবাই নিহত হন। অপর এক খবরে বলা হয়, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা যৌথভাবে এ তদন্তকাজ পরিচালনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ যৌথ তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন নেদারল্যান্ডসের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান উইলবার্ট পলিসেন। তিনি জানান, যাত্রীবাহী বিমানটি যে রাশিয়ার তৈরি বাক মিসাইলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছিল সে বিষয়ে তাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশকালে সেখানে ভিড় করেন নেদারল্যান্ডসের প্রসিকিউটররা। তারা এ ঘটনার একটি সম্ভাব্য ফৌজদারী বিচারের জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন