শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানে এবার ভারতের সাইবার অ্যাটাক

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিশ পাওয়া গেছে। নির্দেশ এলেই শুরু হবে আরো ব্যাপক সাইবার হামলা : ভারতের সাইবার সেফটি প্রধান

প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ন্যাশনাল সাইবার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ডস-এর রিসার্চ টিম পাকিস্তানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট জিওভি ডট পিকে ক্র্যাক করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে। নির্দেশ এলেই শুরু হবে আরো ব্যাপক সাইবার হামলা। ২ দিনের ন্যাশনাল সাইবার ডিফেন্স সামিট-২০১৫র ফাঁকে এ কথা জানিয়েছেন ন্যাশনাল সাইবার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ডসের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল এস অমর প্রসাদ রেড্ডি। এই সামিটে লঞ্চ করেছে সাইবার মিশন অফ ইন্ডিয়া। এর আওতায় গঠিত হবে ১৫টি ন্যাশনাল সাইবার ডিফেন্স রিসার্চ সেন্টার। পাশাপাশি বিদেশি হামলা থেকে ভারতীয় সাইবার স্পেসকে বাঁচাতে এই সাইবার মিশন তৈরি করবে ১০ লক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। অমর প্রসাদ রেড্ডি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তাঁদের রিসার্চ টিম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় তথ্যের হদিশ পেয়েছে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। সাইবার বিশেষজ্ঞরা চাইলে পাকিস্তানের ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার বন্ধও করে দিতে পারেন। পাঠানকোট হামলার পরেই ভারত এই সাইবার হামলা চালায় বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতের সাইবার সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করলে রেড্ডি জানান, জিওভি ডট ইন পুরোপুরি সুরক্ষিত তা হ্যাক করা কার্যত অসম্ভব। তবে আরও বেশ কিছু সরকারি ওয়েবসাইট আছে, যেগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততটা জোরালো নয়। চীন ও পাকিস্তানের হ্যাকাররা মাঝে মধ্যেই হামলা করে সেগুলোয়। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি পলিসি থাকলেও বহু রাজ্য সেই গাইডলাইন মেনে চলে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অপর সূত্রগুলোর খবরে বলা হয়, উরির ঘটনার পর আঘাত-পাল্টা আঘাতের দাবির মধ্যেই চলছে প্রতিবেশি দুই রাষ্ট্রের নতুন নতুন প্রস্তুতি। পাকিস্তানের হামলা ঠেকাতে নতুন কী প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদী সরকার তার একটি তালিকা পাওয়া গেছে। গত শনিবার পাঞ্জাবের উধমপুরে গিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেনাপ্রধান। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উরির ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ব্রিগেডিয়ার সোমশঙ্করনকে। কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থান সীমান্তে খালি করা হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। একই সাথে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় জোরদার করার অংশ হিসাবে তিরিশ দিনের জন্য দেশের সবকটি মেট্রো ওয়েতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে পাকিস্তানি সেনারা কার্গিলের মতো ফের অ্যাডভেঞ্চারে নামতে পারে এমন আশংকা থেকে স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধের জন্য তলে-তলে তৈরি হচ্ছে ভারত। কোনো আগ্রাসী হামলায় আক্রান্ত হলে তার জবাবে পরোক্ষভাবে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। যদিও বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। তবু পাকিস্তানের সম্ভাব্য ক্ষেপনাস্ত্র হামলা ঠেকাতে তৈরি রাখা হচ্ছে মিসাইল ডিফেন্স ব্যবস্থা। ভারতের নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। নাম কালি।
চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর কৌশলগত পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের। পাকিস্তানের স্থায়ী বন্ধু চীন। কোনো পরিস্থিতিতেই চীনের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চাইছে না ভারত। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে কাছে টানার চেষ্টা বহাল রাখা হচ্ছে। চীনের পাল্টা হিসেবে আমেরিকাকে আরো কাছে টানাই ভারতের কৌশল। সেই লক্ষ্যে অনেকটা সফলও হয়েছে ভারত। তবে সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র কথিত সন্ত্রাসের প্রশ্নে ভারতকে সমর্থন দিলেও পাকিস্তানকে খুব বেশি ঘাটাবে না। কারণ, ওই দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে জাতিসংঘ থেকে পশ্চিমা বিশ্বÑ সর্বত্রই একঘরে করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর কথা পরোক্ষভাবে নাকচ করে দিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় এ ধরনের কোনো হামলার পরিস্থিতি দেখা যায়নি। কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিনই বাইশটি বন্ধু দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝিয়েছিল নয়াদিল্লি। দূরের বন্ধুদেরও দূত পাঠিয়ে কাছে টানার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে কাছে টানার কৌশলও রয়েছে ভারতের। সন্ত্রাস রপ্তানিই পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র এমন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে টানতে চায় ভারত। জি নিউজ, এবিপি, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন