আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস ও পারস্পারিক সহায়তা জোরদারের প্রত্যয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাগদাদ সম্মেলন। শনিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই সম্মেলন শুরু হয়। ইরাক ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইরান, সউদী আরব, তুরস্ক ও মিসরের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীসহ বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে চলছে এই সম্মেলন। সম্মেলনের সূচনায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাজিমি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এক মুহূর্তে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সাথে ইরাকের সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোস্তফা আল-কাজিমি আশা প্রকাশ করেন, বাগদাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক পুনর্গঠনে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রও প্রতিষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানি, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ, সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান আল-সউদ, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ চাভুশওলু সম্মেলনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বিরোধের মীমাংসার বিষয়ে আলোচনার আশা করা হচ্ছে। তবে রাতারাতি ক‚টনীতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের আশা করছেন না আয়োজকরা। ২০১৬ সালে সউদী শিয়া আলেম শেখ নিমর আল-নিমরকে সন্ত্রাসের অভিযোগে মৃত্যুদন্ডের জেরে সৃষ্ট জটিলতায় সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সউদী আরব ও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে ক‚টনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সিরিয়া, ইয়েমেনসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন সংকটে বিপরীত প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলোকে সহায়তার মাধ্যমে নিজেদের প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে আসছিলো দেশ দুইটি। এই বছরের শুরুতে নিজেদের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে গোপনে আলোচনা শুরু করে রিয়াদ ও তেহরান। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন