পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) সোমবার থেকে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী নাগরিকদের টিকা দেয়া শুরু করবে। আগের সপ্তাহের মতো আজ রোববারও যাদের প্রয়োজন তাদেরকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম ডনের সঙ্গে আলাপকালে, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের (এনএইচএস) মুখপাত্র সাজিদ শাহ বলেন, সোমবার থেকে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের টিকা প্রদান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। এই বয়সের শিশুদের তাই ন্যাশনাল ডেটাবেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদ্রা) থেকে তাদের ফর্ম বি সহ টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীরা কম্পিউটারাইজড জাতীয় পরিচয়পত্র (সিএনআইসি) -এর মতো নাদ্রার ওয়েবসাইট থেকে টিকা সনদ পেতে পারবে। মুখপাত্র বলেন, ‘ফাইজার ভ্যাকসিন সব বড় টিকা কেন্দ্রে পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শিশুদের টিকা দেয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দল পাঠানোর ব্যবস্থাও করছি।’
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে গত ২৪ আগস্ট স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডক্টর ফয়সাল সুলতান এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন যে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ বছরের বেশি বয়সী মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পাবে। তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের জন্য ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ টিকা নিতে হবে। তিনি বলেছিলেন যে, ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী লোকদের টিকা দেয়ার তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।
সাজিদ শাহ বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সর্বাধিক সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চলছে। ‘এই সিদ্ধান্তের ফলে, ১৫ বছরের বেশি বয়সী সবাই সুরক্ষিত হবে এবং তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে। আমরা মানুষকে টিকা দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি যাতে বিভিন্ন সেক্টর খুলে দেয়া যায় এবং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী অর্থনীতি সমৃদ্ধ হতে পারে। সূত্র: ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন