শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হামলার আশংকায় ভারতে ৪ রাজ্যের সীমান্তসহ ২২ বিমানবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী অথবা সংসদীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ চারটি রাজ্যের বিমানবন্দরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্য চারটির ২২টি বিমানবন্দরের সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদারের জন্য নির্দেশ দিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা। খবরে বলা হয়, দিল্লি ব্যতিরেকে অন্য রাজ্যগুলো হল- জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাট। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে এসব রাজ্যের সীমান্তেও কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দ্য সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যুরো রাজ্যের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ প্রধানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এতে বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী অথবা সংসদীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোকেও একই ধরনের নিরাপত্তা সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে আগতদের তল্লাশি, তাদের ব্যাগ, পার্কিং এবং বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহনে কড়া নজরদারী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, হিন্দুদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে এমনিতেই ভারতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জারি রয়েছে। এর ওপর কাশ্মীরের উরিতে ১৯ সৈন্য নিহতের পর গত সপ্তাহে পাকিস্তানে ভারতের চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা এ ধরনের নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করল।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কাশ্মীর সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেন। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রায় ১০০ সন্ত্রাসী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এরপরই বৃহস্পতিবার ভোরে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে তিন হামলাকারী নিহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে হামলা পরিকল্পনার মানচিত্র, একে-৪৭ এবং পাকিস্তানের মার্কিং করা খাবার ও ওষুধ উদ্ধারের কথা জানায় সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে হামলায় ১৯ ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এ হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে ৪০ জঙ্গিকে হত্যার দাবি করে। তবে পাকিস্তান বরাবর তা নাকচ করেছে দিয়েছে। এরপর থেকেই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সীমান্তে ভারত এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন