ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা আলেপ্পোতে সরকারি বাহিনী এবং রাশিয়ার বোমা হামলার কারণে পূর্বাঞ্চলে গত সপ্তাহে শতাধিক শিশু নিহত হয়েছে। সেখানে আটকা পড়া শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউনিসেফও। বোমার আঘাতে আহত ৭ বছরের শিশুর পায়ের ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দিচ্ছেন চিকিৎসক। শিশুটি ব্যথায় চিৎকার করছে। চিকিৎসক শিশুটিকে প্রার্থনা করতে বলছেন। কিন্তু যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে আবু সাঈদ। বাড়িতে ফিরে আসার পর আবু সাঈদ গত সপ্তাহের হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি মাটিতে পরে গেলাম। এর আগে আমি কখনও রক্ত দেখিনি। এরপর কেউ একজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। একটি স্কুলের বেজমেন্টে শিশুদের পাঠদান চলছে। এই আশায় যাতে করে শিশুদের মৃত্যু ঠেকানো যায়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত নেই। এখানকার ১২ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থী আকমত ফারহান। বিমান হামলায় প্রাণ হারানো বন্ধুর কথা স্বরণ করে বলেন, আমরা একসাথে স্কুলে যেতাম। সে আগে আমার বাড়িতে আসত। কখনও সে তার পেন্সিল আনতে ভুলে গেলে আমারটা নিত। আমি পেন্সিল নিতে ভুলে গেলে তার কাছ থেকে ধার নিতাম। আমাদের তখনকার দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল। সিরিয়া এবং রাশিয়া আলেপ্পোতে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং অবেরোধ জোরদার করেছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন