ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি সব কর্মীর জন্য বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাসের ‘গ্রিন পাস’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। দেশটির সরকার সম্প্রতি নতুন একটি আদেশ জারি করেছে। যারা এই আদেশ লঙ্ঘন করবেন তারা কাজের সুযোগ পাবেন না। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। খবর আল-জাজিরার।
আগামী মাস থেকে চালু হতে যাওয়া ইতালির নতুন নিয়মের আওতায় গ্রিন পাস নিতে হলে সরকারি ও বেসরকারি সব খাতের কর্মীদের কাজ করার জন্য কোভিড টিকা নেওয়ার প্রমাণ (টিকা সনদ) দেখাতে হবে। এছাড়া দেখাতে হবে, সম্প্রতি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া অথবা ছয় মাসের মধ্যে করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণও।
গ্রিন পাস বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর দেশটির মন্ত্রীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো শ্রমিক যদি বৈধ স্বাস্থ্য সনদ দেখাতে ব্যর্থ হন, তাহলে তিনি কাজে যোগ দিতে পারবে না। তবে তাকে চাকরিচ্যুতও করা যাবে না। কেউ যদি নতুন নিময় না মেনে কাজে যান, তাহলে তাকে ৬০০ থেকে ১৫০০ ইউরো জরিমানা গুণতে হবে।
সরকারের নেওয়া নতুন এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরেনজা বলেছেন, ‘গ্রিস হলো স্বাধীনতার একটি দলিল, যেটা কর্মক্ষেত্রে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করবে। দ্বিতীয় কারণটি হলো, এতে করে আমাদের কোভিড টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও বাড়বে।’
দেশটিতে এখন ট্রেন স্টেশন, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, জিম ও সুইমিং পুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ ‘গ্রিন পাস’ লাগে। স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য; পাস না থাকায় অনেক শিক্ষককে কর্মস্থল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবরও পাওয়া গেছে।
দেশটিতে এরই মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার সব ডোজ পেলেও ডেল্টা ধরনের কারণে সংক্রমণ বাড়ায় কর্মকর্তারা বেশ উদ্বিগ্ন। মহামারী শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইতালিতে ৪৬ লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন