রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনা স্বরূপ সন্ধানে বাদুড় গবেষণা কম্বোডিয়ায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস মহামারী বোঝার জন্য কম্বোডিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করছেন গবেষকরা। এক দশক আগে ওই অঞ্চলে এই প্রাণীটির মধ্যে প্রায় একই ধরনের আরেকটি ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। ২০১০ সালে লাওসের সীমান্তবর্তী স্তাং ত্রাইং প্রদেশে হর্সশু বাদুড় থেকে দুটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেগুলো ফনম পেনের ইনস্টিটিউট পাস্তুর দ্যু কম্বোজের (আইপিসি) ফ্রিজে রাখা আছে। গত বছর নমুনাগুলোর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, যে করোনাভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষকে মেরে ফেলেছে হর্সশু বাদুড় থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো তার নিকট আত্মীয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আইপিসি গবেষকদের আট সদস্যের একটি দল এক সপ্তাহ ধরে হর্সশু বাদুড়গুলো থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের প্রজাতি, লিঙ্গ, বয়স ও অন্যান্য বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখছেন। ফিলিপিন্সেও একই ধরনের একটি গবেষণা চলছে। গবেষক দলটির মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়কারী হাউরি হোম রয়টার্সকে বলেন, “আমরা আশা করছি এই গবেষণার ফলাফল কোভিড-১৯ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে বিশ্বকে সাহায্য করতে পারবে।” এই ভাইরাসগুলো বাদুরের মতো যেসব প্রজাতিতে থাকে সেগুলোতে সাধারণত কোনো রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় না, কিন্তু মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীতে ছড়ালে ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। আইপিসির ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ড. ভেসনা ডুয়ং জানান, তার ইনস্টিটিউট বাদুড়-বাহিত এই ভাইরাসটির উৎস ও বিবর্তনের সূত্র পেতে গত দুই বছরে এ ধরনের চারটি অভিযান চালিয়েছে। “ভাইরাসটি এখনও সেখানে আছে কিনা এবং এটি কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে তা বের করতে চাই আমরা,” রয়টার্সকে বলেছেন তিনি। বাদুড় থেকে ইবোলা ও অন্যান্য করোনাভাইরাস যেমন, সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) উৎপত্তি হয়েছে। কিন্তু ভেসনা ডুয়ং বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য মানুষই দায়ী কারণ তারা প্রাকৃতিক পরিবেশে হস্তক্ষেপ করে বিভিন্ন প্রাণীর বাসস্থান ধ্বংস করেছে। “আমরা যদি বন্যপ্রাণীদের কাছে যাওয়া চেষ্টা করি, তাহলে তাদের বাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়,” বলেন তিনি। বন্যাপ্রাণী বাণিজ্য কীভাবে এতে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে তা দেখাও ফরাসি অর্থায়নে চালিত এই গবেষণা প্রকল্পটির উদ্দেশ্য বলে জানান আইপিসির ভাইরোলজি ইউনিটের গবেষণা প্রকৌশলী জুলিয়া গিলবু। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন