রুয়ান্ডায় ১৯৮৪ সালে ৮ লাখ মানুষকে হত্যার হোতা বলে কথিত সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল থিওনেস্টে বাগোসোরা মারা গেছেন। মালির একটি কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার দেশটির কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তৎকালীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইবুনাল ফর রুয়ান্ডা (আইসিটিআর) বাগোসোরাকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে শাস্তি কমিয়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মালির কারাগারে সেই দণ্ডই ভোগ করছিলেন তিনি।
আশি বছর বয়স হয়েছিল তার। গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, হার্টে সমস্যা ছিল। বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল, তিনবার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। আজ একটি ক্লিনিকে তার মৃত্যু হয়েছে,” পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে মালির কারা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটি বলেছেন।
বামাকোর আপিল আদালতের আরেক কর্মকর্তাও বাগোসোরার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানাকে বহনকারী বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করা হলে তিনিসহ সব আরোহী নিহত হন। এরপর প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাগোসোরা আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশটির সামরিক বাহিনী ও রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নেন। প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য সংখ্যালঘু টুটসি বিদ্রোহীদের দায়ী করে বাগোসোরার অধীনস্ত সেনারা ও ইন্টেরাহামওয়ে হুতু মিলিশিয়ারা তাদের ও প্রগতিশীল হুতুদের হত্যা শুরু করে।
তারা মাত্র ১০০ দিনে প্রায় ৮ লাখ টুটসি ও প্রগতিশীল হুতুকে হত্যা করে। তাঞ্জানিয়াভিত্তিক ট্রাইবুনাল এই গণহত্যার জন্য বাগোসোরাসহ ৯৩ জনের বিচার করে। বিচারে বাগোসোরা দোষী সাব্যস্ত হন।
গণহত্যা চলাকালীন রুয়ান্ডায় থাকা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন কানাডার জেনারেল রোমিও ডালেয়ার। তিনি বাগোসোরাকে ওই গণহত্যার ‘মূলহোতা’ বলে বর্ণনা করে জানান, সাবেক এই কর্নেল তাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন