বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাইফস্টাইল

ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৫৮ পিএম

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছেন মোবাইল ফোন আর তার যন্ত্রপাতির ধরন। ফোনে কথা বলা বা গান শোনার জন্য দিন দিন ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোনের চাহিদা বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও এগুলো এত ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হত না। কিন্তু এই ব্লুটুথ কি শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে?

সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে, ব্লুটুথ ইয়ারফোন-হেডফোন ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। কারণ, ব্লুটুথ থেকে রেডিও ফ্রিক্যুয়েন্সি নির্গত হয়। ২ দশমিক ৪ গিগাহার্ৎজে এই রেডিও ফ্রিক্যুয়েন্সি কাজ করে। ব্লুটুথ থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়। এই রেডিয়েশন দু’ধরনের। আয়োনাইজিং এবং ননআয়োনাইজিং। ব্লুটুথ থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন হয়, সেটি ননআয়োনাইজিং। এই ধরনের রেডিয়েশন ক্যানসার-সহ নানা ধরনের সমস্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবু অনেকের দাবি, ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনের কারণে ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে না। কারণ এই যন্ত্র থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই কম। কথাটি সত্যি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন অন্য একটি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। সেটি হল ‘স্পেসিফিক অ্যাবসর্পশন রেট’ বা ‘এসএআর’। ‘এসএআর’ হলো রেডিয়েশন কতটা পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করছে তার মাত্রা। ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং হেডফোনে রেডিয়েশনের মাত্রা খুব কম হলেও এগুলো শরীরের, বিশেষ করে মাথার এত কাছে থাকে, যে ‘এসএআর’-এর মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। এবং সেটিই ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার জন ওয়েন ক্যানসার ইনস্টিটিউট-এর গবেষক-চিকিৎসক সন্তোষ কেশরি ‘হেল্থলাইন’ জার্নালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত ব্লুটুথ হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে ক্যানসার-সহ অন্য অসুখের আশঙ্কা বেড়েছে। তার মতে, ফোনে কথা বলার সময়ে স্পিকার চালু করলে বা তার-যুক্ত হেডফোন-ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সমস্যার আশঙ্কা অনেক কমে। সূত্র: ইনসাইডার, হেল্থলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন