প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে এক থেকে ১০০ পর্যন্ত লিখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকভাবে করতে পারেনি শিশুটি। আর তাতেই কড়া শাস্তি দিলেন গৃহশিক্ষিকা। প্রথমে স্কেল দিয়ে মারধর, এরপর গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়েছেন সাত বছরের ওই শিশুর শরীরে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে, পাচ্ছেন সাজাও। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হুগলিতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভুক্তভোগী শিশুটি হুগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দা। সে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যেতো কোন্নগর রাজীব গান্ধী রোডের বাসিন্দা রুমু ঘোষের কাছে। গত শুক্রবার পড়তে গেলে ছাত্রকে এক থেকে ১০০ পর্যন্ত লিখতে বলেন শিক্ষিকা। তা না পারতেই শুরু হয় কঠিন শাস্তি। অভিযোগ উঠেছে, প্রথমে স্কেল দিয়ে পেটানো হয় শিশুটিকে, এরপর গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন রুমু। এরপর ছাত্রের ক্ষতস্থানে মলম লাগিয়ে কাপড় বেঁধে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি, তাকে নিষেধ করেন বাড়িতে কাউকে কিছু বলতে। রাতে বাড়ি ফিরে সত্যিই কাউকে কিছু জানায়নি শিশুটি। কিন্তু পরের দিন সকালে কাপড় খুলতেই ছাত্রের মায়ের চোখে পড়ে তার পায়ে ছ্যাঁকা লাগার দাগ। এরপর বিস্তারিত শুনে কোন্নগর পুলিশ ফাঁড়িতে শিক্ষিকার নামে লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর পরিবার। শনিবার সেই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের কারাদন্ড দেন বিচারক। জি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন