চলতি বছরের শেষে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন বিশ্বের দুই শক্তিধর নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অনলাইনে ভার্চুয়ালি এই বৈঠক আয়োজিত হবে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এমনটি জানিয়েছে এনডিটিভি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য নীতিগতভাবে চুক্তি হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, শি-কে দেখতে কতই না ভালো লাগবে। এই বৈঠক তিনি কয়েক বছর ধরে করেননি।
তিনি আরো জানান, রোমে অনুষ্ঠিত আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না শি। আর এ জন্যই ভার্চুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন স্থানীয় সময় বুধবার জুরিখে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এবং চীনের শীর্ষ কূটনৈতিক ইয়াং জিচির মধ্যে ছয় ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে।
গত মঙ্গলবার তাইওয়ান নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করার কথাটি জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন বলেন, ‘আমি শি জিন পিংয়ের সঙ্গে তাইওয়ান নিয়ে কথা বলেছি। আমরা সম্মত হয়েছি তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলব।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনের প্রেসিডেন্ট চুক্তির অন্যথা করবেন না।’
জানা যায়, তাইওয়ান সম্পর্ক চুক্তি বা ‘তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট’ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখবে। আর তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্ধারিত হবে।
চীন দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। চলমান উত্তেজনার জন্য বেইজিংকে দোষারোপ করে আসছে তাইওয়ান। অন্যদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে চীন।
সম্প্রতি চীন তাইওয়ানের আকাশসীমায় টানা চার দিন রেকর্ডসংখ্যক সামরিক বিমান পাঠায়, যা কিছু বিশ্লেষকের মতে, দ্বীপের জাতীয় দিবসের আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের জন্য একটি সতর্ক বাণী।
তাইওয়ান বলছে, তারা তাদের আকাশসীমায় ৫৬টি চীনা যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে।
তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান, সামরিক বাহিনী এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। অঞ্চলটি নিজেকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে মনে করে। অন্যদিকে চীন দাবি করে তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ভূমি। সূত্র : এনডিটিভি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন