শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানের পারমাণু বোমার জনক ড. আব্দুল কাদির খানের ইন্তেকাল : ইমরান খানের শোক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৩ পিএম

পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচীর 'পুরোধা' বিজ্ঞানী ড. আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে তিনি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্টা ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে ড. আব্দুল কাদির খানের বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর এবং তিনি বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন।

 

বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার অধিকারী হওয়ার পেছনে তাকে কৃতিত্ব দেয়া হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের কাছে পরমাণু বোমার গোপন তথ্যাদি পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ড. কাদির খানকে ফয়সাল মসজিদ চত্বরে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ড. আব্দুল কাদির খানকে পাকিস্তানের মানুষ ভালোবাসত, কারণ তিনি দেশটিকে পারমানবিক শক্তিধর একটি দেশে রূপান্তর করেছিলেন, এবং তিনি ছিলেন পাকিস্তানের একজন জাতীয় বীর।

 

অগাস্টের ২৬ তারিখে ড. আব্দুল কাদির খান করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন। এরপর তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হতে থাকে এবং তাকে কাহুটা রিসার্চ ল্যাবরেটরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন, কিন্তু গত রোববার তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০০৪ সালে ড. আব্দুল কাদির খান পারমানবিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করছেন সন্দেহে গ্রেপ্তার হন, এবং এরপর পাঁচ বছর আটক ছিলেন। ২০০৯ সালে তার আটকাদেশ সরকার প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু এরপর তিনি আর কখনো জনসমক্ষে আসেননি।


ড. কাদির খানের জীবন : ড. আব্দুল কাদির খান ১৯৩৬ সালের ২৭শে এপ্রিল অবিভক্ত ভারতের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেন, এবং ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পরিবারের সাথে পাকিস্তানে চলে যান। করাচীতে পড়ালেখার পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ইউরোপে যান। সেখানে ১৫ বছরের প্রবাস জীবনে তিনি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট বার্লিন, নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব ডেলফ্ট এবং বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব ল্যুভেন এ পড়াশোনা করেন। ১৯৭৪ সালে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচী নিয়ে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে যোগাযোগ হবার পর ১৯৭৬ সালে ড. আব্দুল কাদির খান পাকিস্তানে ফিরে যান।

সে বছরই ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ল্যাবোরেটরিজ স্থাপন করেন, যা ১৯৮১ সালে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া-উল-হক ড. একিউ খান রিসার্চ ল্যাবোরেটরিজ নামকরণ করেন। পাকিস্তানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচীতে এই ল্যাবরেটরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি নিজে একটি প্যাম্ফলেটে লিখেছিলেন যে পাকিস্তানের পারমানবিক কর্মসূচীর ভিত্তি রচিত হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর হাতে এবং দেশটির পরবর্তী শাসকেরা সে কর্মসূচীকে সমর্থন করেছেন। ড. আব্দুল কাদির খানকে পাকিস্তানের পারমানবিক কর্মসূচীর প্রাণপুরুষ বলা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ওই কর্মসূচীর নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
MD Akkas ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৮:২৭ পিএম says : 0
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন