শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফ্যাশনের অংশ হিসেবে ভ্যাপিংয়ের দিকে ঝুঁকছে কিশোর-কিশোরীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সিগারেটের পরিবর্তে ভ্যাপিংয়ের (বৈদ্যুতিক সিগারেট) প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আরব অঞ্চলের উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। এমনটাই দাবি করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, এর বিভিন্ন ফ্লেভারের কারণে তরুণরা ভ্যাপিংয়ের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ভ্যাপিং যার মাধ্যমে নেওয়া হয় সেখানে লিকুইড নিকোটিন থাকে, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ফ্লেভার ও কেমিক্যাল থাকে। আর এসব উপাদান যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১৯ সালে এবং সউদী আরবে ২০২০ সালে ভ্যাপিং বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে শারজাহ হাসপাতালের একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আবদাল করিম নাসের জানিয়েছেন, ‘ধ‚মপানের কোনো নিরাপদ বিকল্প নেই। ভ্যাপিংয়ের কারণে দিনদিন ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে।’ ভ্যাপিং অর্থাৎ ই-সিগারেট একটি তরল গরম করে একটি অ্যারোসোল উৎপন্ন করে, যার মধ্যে সাধারণত নিকোটিন, ফ্লেভার এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে, যা ব্যবহারকারী এবং যারা ব্যবহার না করে সংস্পর্শে আসে তাদের জন্যও ক্ষতিকর। অনেকেই নিকোটিনমুক্ত ভ্যাপিংয়ের দাবি করে; কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাতে নিকোটিন রয়েছে। ভ্যাপিং নেওয়া যে শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর এই বিষয়ক অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে। এর ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও ফুসফুসে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা কয়েক গুণ বাড়ায় ভ্যাপিং। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভ্যাপিংয়ের চারটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওপর গবেষণা করেছেন। সেই সমীক্ষা প্রকাশ পেয়েছে সউদী মালিকানাধীন সংবাদপত্র আল আরাবিয়া নিউজে। সেখানে বলা হয়েছে, ভ্যাপিং নিলে বাষ্পের সঙ্গে শরীরে দুই হাজার রাসায়নিক দ্রব্য প্রবেশ করে। এর মধ্যে বেশির ভাগ রাসায়নিকই চিহ্নিত করা যায়নি। আর যে ছয়টা সম্পর্কে জানা গেছে, তা শরীরে উদ্বেগ তৈরি করে। আল আরাবিয়া নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন