নেদারল্যান্ডের গবেষকরা সূঁচ ছাড়া ‘কার্যত বেদনাহীন’ ইনজেকশন তৈরি করেছেন। তারা আশা করছেন, যুগান্তকারী এই আবিস্কার ইনজেকশন ভীতি লাঘব করবে এবং টিকা নিতে সবাইকে উৎসাহিত করবে।
‘বাবল গান’ নামের এই ইনজেকশন আবিষ্কার করেছেন টুয়েন্টি ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা। এর মাধ্যমে আরও অল্প সময়ে টিকা দেয়া হয়ে যাবে। মশার কামড়ের চেয়ে কম ব্যথা লাগবে। কারণ এ প্রক্রিয়া ত্বকের নিচে থাকা নার্ভকে স্পর্শই করবে না। বাণিজ্যিকভাবে এটি বাজারে আসতে তিন বছর সময় লাগতে পারে। এর আগে সম্পন্ন হবে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অনুমোদনের প্রক্রিয়া।
গবেষক দলের প্রধান ডাচ বিজ্ঞানী ড্যাভিড ফার্নান্দেজ রিভাস জানান, লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্বকের উপরে থাকা ছিদ্রে চাপ দিয়ে, নির্ধারিত পরিমাণ তরল শরীরে প্রবেশ করানো হবে। বাবল গানে টিকা দেয়ার মাধ্যমে সুইভীতি দূর, সুই থেকে ছড়ানো সংক্রমণরোধ, ত্বকের নিচের উপরিভাগে পুশ করায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালোভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
সুইভীতিসহ ট্রাইপানোফোবিয়ার রোগীদের চিকিৎসা দেন হেন্ক শেংক। তিনি বলেন, প্রতি পাঁচজনে একজন ডাচ সুইভীতিতে ভুগছেন। করোনায় এ সমস্যা সামনে আসে। মানুষ করোনা বিধিনিষেধের বিরোধিতা করছেন। টিকা যাতে নিতে না হয় সেজন্য পারলে পালাচ্ছেনও তারা। অথচ করোনা মোকাবিলায় টিকা নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণা এবং নিয়ন্ত্রক বিষয়গুলোর অগ্রগতির উপর নির্ভর করে বাবল গান সাধারণ জনগণের জন্য উপলব্ধ হতে এক থেকে তিন বছর সময় নিতে পারে। রিভাস জানানন, স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে মানব পরীক্ষা শুরু করতে তহবিলের জন্য চলতি মাসেই একটি আবেদন জমা দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি নতুন স্টার্ট-আপ কোম্পানি ওষুধ শিল্পের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। সূত্র : রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন