ইনকিলাব ডেস্ক : অপেক্ষাকৃত মধ্যপন্থী এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিবেচনায় সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করছে এবং অসামরিক গ্রুপ যারা ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তাদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে। এছাড়া সিরিয়ার ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করছে আর্থিক সহায়তাদানের মাধ্যমে। কিন্তু এতে সিরিয়ান মুসলিমরা খুব একটা উপকৃত না হলেও এ প্রক্রিয়ায় তাদের জীবনের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সিআইএর দেওয়া অস্ত্র ও বেতন-ভাতা প্রাপ্ত সিরিয়ার বৃহত্তম বিদ্রোহী দলের এক রাজনৈতিক নেতা জাকারিয়া সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ও আরব রাষ্ট্রের প্রতি অস্ত্র ও অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি অবগত করান এবং এ ব্যাপারে ফরাসি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অবশ্যই সরে যেতে হবে এবং সিরিয়ায় আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাহায্য দেয়ার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে মদদ দিচ্ছে বলে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এছাড়া পদত্যাগ বা নির্বাসনে যাওয়ার কোনো রকম ইচ্ছা নেই বলেও সাফ জানান তিনি। একই সঙ্গে সিরিয়ার সহিংসতায় ব্রিটিশ সরকারের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে আসাদ বলেন, তারা অত্যন্ত অপটু, দ্বিধাগ্রস্ত এবং আনাড়ির মতো আচরণ করছে। এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ ব্রিটেনের সরকার প্রসঙ্গে বাশার আল-আসাদের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে আধুনিক যুগের অন্যতম প্রতারণামূলক সাক্ষাৎকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা খুব শিগগির সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র সরবরাহের উদ্যোগ নিতে পারেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা দি সানডে টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন, আমাদের এখন সিরিয়ায় আল-কায়েদা, জাবাত আল-নুসরার মতো চরমপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাস দমনের পদক্ষেপ নেবে কীভাবে, যখন তারাই এই সন্ত্রাসীদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে চায়। ব্রিটিশ সরকার বিদ্রোহীদের সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা সেটা করতে পারছে না।
এছাড়া দেশ ছাড়া বা পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে আসাদ বলেন, দেশের এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মাতৃভূমিকে ফেলে কোনো দেশপ্রেমিক বাইরে চলে যেতে পারে না। আমি নিজেকে একজন দেশপ্রেমিক মনে করি। আমি চলে গেলেই সিরিয়া সঙ্কট থেমে যাবে বলে প্রচার করছেন অনেকেই। এমন ভাবাটা হাস্যকর। লিবিয়া, ইয়েমেন, মিসরে এখনো সঙ্কটকাল চলছে। ইপিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন