নগরবাসীর জন্য স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে সিলেট সিটির বিভিন্ন এলাকায় স্মার্ট পোল স্থাপন করবে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান- ইডটকো বাংলাদেশ ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন (এসসিসি)। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দু’টি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দাদের জন্য উন্নত ও নির্বিঘœ সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করাই এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য।
এই স্মার্ট পোল সুল্যশনটি মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সাহায্য করবে। এছাড়া বর্তমানের অতিরিক্ত ডেটার চাহিদা পূরণে অভিনব ও টেকসই এই সমাধানটি ডেটার বাড়তি চাপ কমানোর পাশাপাশি গ্রাহকদেরকে আরো ভালো সেবা প্রদানের সুযোগ করে দিবে। অধিকন্তু, এটি আগামী দিনগুলোর উন্নত প্রযুক্তির চাহিদা পূরণে অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণেও ভূমিকা রাখবে।
উন্নত যোগাযোগ সুবিধার জন্য এই স্মার্ট পোলগুলোতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা নজরদারি, ডিজিটাল সাইনেজর স্থাপনের মতো আধুনিক সুবিধাও স্মার্ট ল্যাম্পপোলটিতে থাকছে। ইডটকো প্রাথমিকভাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার দু’টি সাইটে স্মার্ট পোল স্থাপনের কাজ করবে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে আগামীতে এই সেবার পরিসর আরো বিস্তৃত হবে বলে জানানো হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ইডটকোর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) রিকি স্টেইন, অপারেশন্স ডিরেক্টর মনোয়ার শিকদার, এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং প্রধান রিভেন দেওয়ান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী, সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মতিউর রহমান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো: রুহুল আলম সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “সিলেটকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের মাধ্যমে নগরীর বাসিন্দাদের জন্য উন্নত জীবন-যাপনের সুবিধা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার এই উদ্যোগের অংশীদার হবার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। সমন্বিত ও মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো- স্মার্ট সিটির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নগরবাসীর জন্য সর্বোচ্চ সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ইডটকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।”
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) রিকি স্টেইন বলেন, “সবার জন্য নির্বিঘœ সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরবর্তী প্রজন্মের অবকাঠামো স্থাপনের মাধ্যমে সিলেটকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পার্টনার হতে পেরে আমরা গর্বিত। এই অংশীদারিত্বটি মূলতঃ নান্দনিক নগরপরিকল্পনার সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে আরো উন্নত ও ব্যবহার উপযোগী টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি নগরাঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সংযোগ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের দায়বদ্ধতারই প্রতিফলন। শীর্ষস্থানীয় টাওয়ার কোম্পানি হিসেবে ‘ইডটকো’ এদেশে যথাযথ শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং জাতির ডিজিটাল লক্ষ্য অর্জনের জন্য টেকসই টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। এই খাতের সমৃদ্ধিতে প্রয়োজন মতো আমরা টেলি-ইকোসিস্টেমের সব পর্যায়ের অংশীদারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।”
এর আগে, ঢাকা উত্তরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে একই ধরনের স্মার্ট পোল স্থাপনের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। বর্তমানে কোম্পানিটির নিজস্ব মালিকানা ও দায়িত্বে ১২ হাজারেরও বেশি টেলিকম টাওয়ার রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধারাবাহিক উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই ও শেয়ারযোগ্য অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ইডটকো বাংলাদেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন