টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারত-পাকিস্তানের খেলাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াল ভারতের পাঞ্জাবের দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খেলায় পাকিস্তান জেতার পর তাদের উপর চড়াও হন একদল হামলাকারী। তাদের হস্টেলে ঢুকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
পাঞ্জাবের ভাই গুরুদাস ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ও রায়ত ভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। জম্মু কাশ্মীর ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘পাঞ্জাবের সঙ্গুর ও মোহালি জেলার দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার হাত থেকে স্থানীয় মানুষেরা তাদের উদ্ধার করেছেন। মূলত উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও বিহারের শিক্ষার্থীরা রোববার রাতে আক্রমণ চালান। কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের হস্টেলের ঘরেও ভাঙচুর চালানো হয়।’
এই নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি করেন, নিরাপত্তারক্ষীরা হস্টেলে হামলাকারীদের ঢুকতে দেয়। তার পর মূলত উত্তরপ্রদেশের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হামলাকারীরা হস্টেলের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালান। পরে পাঞ্জাব পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ঘটনা ঘটেছে মোহালির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। সেখানেও চার কাশ্মীরি শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
সঙ্গুরের এক পুলিশ কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়রিং কলেজ সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৯০ জন কাশ্মীরি শিক্ষার্থী রয়েছেন আর ৩০ জনের মতো ছাত্র বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। মোট দু’টি হস্টেলে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা থাকেন। অভিযোগ উঠেছে, পাকিস্তান যখন রান করছিল, কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা উল্লাস করছিলেন। তারা ‘আজাদি’ স্লোগানও তুলেছিলেন।’ যদিও সোমবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার জন্য দু’পক্ষই ক্ষমা চেয়ে মিটমাট করে নিয়েছে। সূত্র: এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন